সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের এক তরুণের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল সাতক্ষীরার এক তরুণীর। প্রেমের টানে সুন্দরবনের নদী এবং জঙ্গল পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গের কালিঘাটে গিয়েছিলেন তিনি।
প্রেমিককে বিয়ে করতে ঘণ্টাখানেক মাতলা নদীতে সাঁতার কাটতে হয় তাঁকে। সব বিপদ সামলে তিনি সংসার বেঁধেছিলেন প্রেমিকের সঙ্গে।
কিন্তু প্রেমের জন্য তাঁর এই জীবনপণ লড়াইয়ের গল্প লোকমুখে ছড়িয়ে পড়াই কাল হয়ে দাঁড়াল।
বেআইনিভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে সোমবার (৩০ মে) ওই তরুণীকে নরেন্দ্রপুর থানা এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইনের।
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতার তরুণী বাংলাদেশের সাতক্ষীরার বাসিন্দা। কয়েক মাস আগে নরেন্দ্রপুরের রানিয়ার বাসিন্দা অভীক মণ্ডল নামে এক যুবকের সঙ্গে ফেসবুকে আলাপ হয় তাঁর। সেই আলাপ প্রেমে পরিণত হয়। অভীককেই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তিনি। কিন্তু ভারতে ঢোকার জন্য পাসপোর্ট বা ভিসা ছিল না তাঁর কাছে। শেষে সুন্দরবনের জঙ্গল ঘেরা নদী পথ দিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় পৌঁছানোর সিদ্ধান্ত নেন।
প্রেমিককে বিয়ে করার উদ্দেশে বিপদে ভরা সুন্দরবন জঙ্গল পেরিয়ে নেমে পড়েন মাতলা নদীতে। যে নদীতে যখন তখন বাঘ-কুমিরের মুখে পড়ার আশঙ্কা। কিন্তু সেই সব বিপদের তোয়াক্কা না করেই এক ঘণ্টা ধরে নদী সাঁতরে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কৈখালিতে প্রবেশ করেন ওই তরুণী।
কালীঘাট মন্দিরে বিয়েও সেরে ফেলেন দু’জনে। দিন চারেক আগেই স্বামী বাড়িতে যান ওই তরুণী। বিয়ের পর সুখেই সংসার করছিলেন দু’জনে। প্রেমের জন্য বাংলাদেশি তরুণীর এই সাহসিকতার কাহিনি লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে।
তরুণীর নদী পেরিয়ে ভারতে ঢোকার এই ঘটনা পুলিশের কানে পৌঁছাতেও দেরি হয়নি। এর পরই সোমবার রানিয়া এলাকায় হানা দেয় নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। বেআইনি ভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তরুণীকে।