শেখ রাসেল ,বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ-
আশ্বাস দিয়ে কথা রাখেননি উপাচার্য তাই এবার ‘কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি’ ঘোষনা করেছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) কর্মচারি সমিতি।
বৃহস্পতিবার(২জুন) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমিতির সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও সাধারন সম্পাদক বি এম আশিকুর রহমান স্বাক্ষরিত একটি জরুরি নোটিশে এ ঘোষনা প্রদান করেন তারা।
জরুরি নোটিস সুত্রে জানা যায়, গত বুধবার(১ জুন) কর্মচারিদের আপগ্রেডেশন বোর্ড হওয়ার কথা ছিলো কিন্তু আপগ্রেডেশন বোর্ডে দুইজন সদস্য অনুপস্থিত থাকায় কর্মচারিদের আপগ্রেডেশন বোর্ডটি বন্ধ হয়ে যায়। এসময় উক্ত বোর্ড করার দাবিতে ওইদিন তারা তাৎক্ষণিক কর্মবিরতি ঘোষনা করেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. একিউএম মাহবুব কর্মচারি সমিতির সর্বোচ্চ প্রতিনিধিদের কে ‘ কর্মচারিদের আপগ্রেডেশন যেহেতু বোর্ডের সদস্য শিক্ষকদের অনুপস্থিতির কারনে বন্ধ হয়েছে,সেহেতু শিক্ষক,কর্মকর্তা ও কর্মচারি কারো আপগ্রেডেশন সংক্রান্ত কোন কাগজ রিজেন্ট বোর্ডে যাবে না। গেলে সবার টা যাবে, তা না হলে কারোটাই যাবে না’ বলে আশ্বাস প্রদান করেন।
উপাচার্যের এমন আশ্বাসের উপর ভিত্তি করে কর্মচারি সমিতি চলমান কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেন। তবে উপাচার্য শিক্ষকদের পূর্বে অনুষ্ঠিত হওয়া আপগ্রেডেশন বোর্ডের সুপারিশ অনুমোদনের জন্য এজেন্ডাভুক্ত করে তার দেয়া কথা রাখতে পারেন নি বলে নোটিসে উল্লেখ করেন তারা। এরই প্রেক্ষিতে ‘উপাচার্যের দেয়া কথা রাখা’ অন্যথায় কর্মচারিদের আপগ্রেডেশন বোর্ড না হওয়া পর্যন্ত ‘কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি’র সিদ্ধান্তে উপনিত হওয়া সহ উক্ত বিষয়ের সঠিক সিদ্ধান্ত ও দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষনা দেন তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য প্রফেসর ড. একিউএম মাহবুব ঢাকা মেইলকে বলেন,‘আমার টার্গেট রিজেন্ট বোর্ডের মাধ্যমে শূন্যপদগুলোতে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া। নয়তো শিক্ষার্থীদের ক্লাস বন্ধ হয়ে যাবে। বাকি সমস্যা নিয়ে পরবর্তীতে আলোচনা হবে। মাসের পর মাসও আন্দোলন হয়েছে। দুই-তিন দিন আলোচনায় কিছু হবে না।’