রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রধান মুখপাত্র মেজর জেনারেল ইগোর কোনাশেনকোভ বৃহস্পতিবার দাবি করেছেন, ইউক্রেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য বিদেশি ভাড়াটে যোদ্ধাদের নিয়ে এসেছিল। কিন্তু বেশিরভাগ ভাড়াটে যোদ্ধাদের নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে রাশিয়া। বর্তমানে ভাড়াটে যোদ্ধার সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে।
তার দাবি দুর্বল প্রশিক্ষণ ও যুদ্ধ করার অভিজ্ঞতা না থাকায় তারা রাশিয়ার শক্তিশালী দূরপাল্লার অস্ত্রের কাছে হার মেনেছে।
এ ব্যাপারে মেজর জেনারেল ইগোর কোনাশেনকোভ বলেন, ইউক্রেনের কয়েকশ বিদেশি ভাড়াটে যোদ্ধা যেখানে তারা প্রশিক্ষণ নিতে এসেছিল সেখানে রাশিয়ার দূরপাল্লার অস্ত্রের মাধ্যমে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কিন্তু বেশিরভাগ ভাড়াটে যোদ্ধা যুদ্ধক্ষেত্রে মারা গেছে দুর্বল প্রশিক্ষণ ও সত্যিকারের যুদ্ধ করার অভিজ্ঞতার অভাবের কারণে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ মুখপাত্র আরও দাবি করেছেন, ইউক্রেন এসব বিদেশি ভাড়াটে যোদ্ধাদের কামান চালাতে কাজে লাগিয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, যারা রাশিয়ার হামলায় মারা গেছে তাদের পরিবারের কাছে কোনো তথ্য দেওয়া হচ্ছে না। তথ্য গোপন করা হচ্ছে।
এছাড়া এখনো যেসব বিদেশি ভাড়াটে যোদ্ধারা ইউক্রেনের হয়ে যুদ্ধ করছে তাদের হুশিয়ারি দিয়েছেন মেজর জেনারেল কোনাশেনকোভ।
তিনি বলেছেন, যুদ্ধে টিকে থাকতে না পেরে অনেকে চলে যেতে চাচ্ছে কিন্তু তাদের যেতে দিচ্ছে না ইউক্রেন।
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী ভাড়াটে যোদ্ধারা যেহেতু সেনা না ফলে তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ইউক্রেন এখন ভাড়াটে যোদ্ধাদের নিজেদের সেনাবাহিনীর অন্তর্ভুক্ত করতে চাইছে এবং ইউক্রেনের পাসপোর্ট দেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু এসব কিছু তাদের বাঁচাতে পারবে না।