দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং উল্লেখ করে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা বলেছেন, নির্বাচন একটি স্পর্শকাতর ও চ্যালেঞ্জিং বিষয়। রাজনৈতিক দল ও প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সার্বিক সহযোগিতা ব্যতীত শুধু নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়।
নুরুল হুদা বলেন, ‘রাজনৈতিক সমঝোতা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল। তাই বিএনপিকে বাদ দিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন করা হলে সে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না।’
সাবেক এই সিইসি বলেন, ‘স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য জেলা প্রশাসকদের পরিবর্তে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনকালে আমার ওপর কোনো চাপ ছিল না। তবে বেশ কিছু কেন্দ্রে শতভাগ ভোট প্রদান ছিল অস্বস্থিকর। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে।’
শনিবার এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত এক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
নির্বাচনী সহিংসতা প্রসঙ্গে সাবেক সিইসি বলেন, ‘বন্দুক ও লাঠি ব্যবহার করে নির্বাচন করা যায় না। বাংলাদেশ ছাড়া পৃথিবীর কোথাও নির্বাচনে বন্দুক ও লাঠির ব্যবহার হয় না। নির্বাচনকালে যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি করা ঠিক নয়। নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতায় সম্পদ নষ্ট ও মানুষ খুন কাম্য নয়। নির্বাচনকে অবশ্যই প্রতিযোগিতামূলক হতে হবে।’
ইভিএম প্রসঙ্গে নুরুল হুদা বলেন, ‘ইভিএম ব্যবহার করে কারচুপি করা যায় না। তবে ইভিএম মেশিনকে আরও আধুনিক করা যেতে পারে। বাংলাদেশে আগামী ২০ বছর নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা উচিত।’
ভোট প্রদান কক্ষে সিসিটিভি থাকলে ইভিএমের প্রতি মানুষের আস্থা আরও বাড়বে বলে মনে করেন সাবেক এই সিইসি।