চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার প্রচারে ফেসবুকে লাইভে গিয়েছিলেন তরুণ অলিউর রহমান।
আর লাইভ করতে গিয়েই প্রাণ গেল এ তরুণের।
তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) রয়েছে।
এ খবর নিশ্চিত করেছেন তার সহকর্মী রুয়েল ও পরিবার।
জানা গেছে, অলিউর রহমান মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের ফটিগুলী গ্ৰামের আশিক মিয়ার ছেলে। তিনি সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোর একজন শ্রমিক ছিলেন।
শনিবার রাতে আগুন লাগার সময় অক্ষত ও নিরাপদেই ছিলেন অলিউর। খাবারের জন্য ডিপো থেকে চলে আসায় রাত ৯টার বিস্ফোরণে ভয়াবহতা থেকে বেঁচে যান।
কিন্তু রাত ১১টা থেকে ফেসবুকে লাইভে যুক্ত হন তিনি। আর লাইভ চলাকালীন হঠাৎ আরেকটি ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর থেকে তার লাইভটি অন্ধকার দেখা যাচ্ছিল।
অলিউরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে তার সহকর্মী রুয়েল বলেন, আমরা ওই সময় খাবারের জন্য ডিপো থেকে চলে আসি। কিন্তু ফেসবুকে লাইভ করার জন্য অলিউর সেখানে থেকে যায়। যে কারণে মৃত্যু ঘটল তার। পরে আরেকটি বিস্ফোরণে তার মৃত্যু হয়েছে। তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ চমেকে রয়েছে। এখন তার মরদেহ নেওয়ার জন্য স্বজনরা চট্টগ্রাম যাচ্ছে।