ক্রাইমবাতা রিপোটা: সদর: সাতক্ষীরা সদরের কৈখালি গ্রামে বিমাতা ভাই ও ভাইপোদের হামলায় গুরুতর জখম কৃষক আনছার আলী মারা গেছেন। রবিবার সকালে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ জুয়েল হোসেন নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
নিহত আনছার আলী(৬৮) সাতক্ষীরা সদরের লাবসা ইউনিয়নের কৈখালী গ্রামের মৃত. এছেম আলী সরদারের ছেলে।
নিহতের স্বজনরা জানান, জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে লাবসা ইউনিয়নের কৈখালী গ্রামের মৃত. এছম আলী সরদারের প্রথম স্ত্রীর ছেলে আনছার আলী ও তার সহোদরদের সঙ্গে দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে ইউপি সদস্য হোসেন আলী ও তার সহোদরদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
গত ৯ জুন রাত ৮টার দিকে আনছার আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক বাইপাস সংলগ্ন নিজ মৎস্য ঘেরে অবস্থান করছিল। এসময় ঘেরের বেড়িবাঁধের মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে মেম্বর হোসেন আলীর নেতৃত্বে তার ছেলে রুবেল হোসেন, জুয়েল হোসেন ও জুলু হোসেন লোহার রড, বাঁশের লাঠি ও রাম দা দিয়ে রাজ্জাকের উপর হামলা চালায়। রাজ্জাককে বাঁচাতে তার বাবা আনছার আলী এগিয়ে এলে তার উপরেও একইভাবে হামলা চালিয়ে জখম করা হয়।
স্থানীয়রা রাজ্জাক ও আনসারকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। আনছারের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে পরদিন খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বরিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আনছার মারা যান। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়না তদন্ত শেষে আনছারের লাশ বাড়িতে এনে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক বিশ্বজিৎ কুমার অধিকারী জানান, এ ঘটনায় আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে শনিবার থানায় একটি মামলা(২৮নং) দায়ের করেছেন। রবিবার সকালে আনছার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ায় ওই মামলার সংগে হত্রা মামলার ধারা সংযুক্ত করার জন্য আদালতে পাঠানো হবে। এঘটনার পর থেকে ইউপি সদস্য হোসেন আলী, রুবেল হোসেন ও জুলু হোসেন পলাতক থাকলেও জুয়েলকে একই এলাকার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে রবিবার সকালে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে।