ক্রাইমবাতা রিপোট: সাতক্ষীরায় মাদকসেবন ও চাঁদাবাজির অভিযোগে কাউন্সিলরসহ যুবদলের তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার রাতে তালার মেলাবাজার ও রহিমাবাদের বাড়ি থেকে তালা উপজেলা যুবদলের দুই নেতাকে এবং পুরাতন সাতক্ষীরা বাজারের একটি ফার্মেসিতে দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে হামলা ও ভাঙচুরের সময় জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদককে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, তালা উপজেলা যুবদলের আহবায়ক তালা সদরের মেলাবাজারের বাসিন্দা মির্জা আতিয়ার রহমান (৪৮) ও বহিষ্কৃত যুগ্ম আহবায়ক তালার রহিমাবাদের বাসিন্দা সাঈদুর রহমান সাঈদ (৪০) এবং পুরাতন সাতক্ষীরার অধিবাসি জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর আইনুল ইসলাম নান্টা (৫০)।
তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জেহাদ ফকরুল আলম খান জানান, যুবদলের দুই নেতা মির্জা আতিয়ার রহমান ও সাঈদুর রহমান সাঈদের বিরুদ্ধে মাদক সেবনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। তাদের ফেন্সিডিল সেবনের একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরালও হয়েছে। গভীর রাতে তাদের নিজ নিজ বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় মাদক সেবনরত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। এ ছাড়া সরকারের বিরুদ্ধে নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনার অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরণ করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওসি।
এর আগে নান্টার বিরুদ্ধে দলীয় নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে মামলা রয়েছে বলে দলের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানায়।
জেলা যুবদলের সভাপতি আবু জাহিদ ডাবলু জানান, মাদক সেবনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে সাঈদুর রহমান সাঈদকে কয়েক মাস আগে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়কের পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। মাদকসেবিদের স্থান যুবদলে নেই বলে জানান তিনি।
এদিকে জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জেলা বিএনপির সদস্য ও সাতক্ষীরা পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আইনুল ইসলাম নান্টা বুধবার রাতে পুরাতন সাতক্ষীরার একটি ফার্মেসি মালিকের কাছে দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে মারপিট করার সময় সদর থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ যৌথ অভিযানে নান্টাকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার বিরুদ্ধে পৃথক আরো একটি মামলা হয়েছে।
সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিশ্বজিৎ অধিকারী জানান, পুরাতন সাতক্ষীরার হাটখোলা মোড়ে ইমাদুল ইসলামের ওষুদের ফার্মেসিতে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে নান্টা। চাঁদা না পেয়ে মঙ্গলবার রাতে ফার্মেসিতে হামলা চালিয়ে ইমাদুল ইসলামকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে নান্টাসহ তার ক্যাডার বাহিনী। রাতেই ইমাদুল ইসলামের ছেলে অহিদুজ্জামান নান্টাসহ ৭জনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করে। চাঁদাবাজির সেই মামলায় নান্টাকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওসি।