ক্রাইমবাতা রিপোট,কুমিল্লা: কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে জামায়াতের প্রাথীরা ভাল করেছে। জামায়াতে ইসলামীর নেতা কাজী গোলাম কিবরিয়া ১ নম্বর ওয়ার্ডে এবং একরাম হোসেন বাবু ৮ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে জয়লাভ করেছেন। আর রাজিউর রহমান রাজিব জিতেছেন ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে। ৭ নম্বর আসনে জামায়াতের তাহমিনা আক্তার বিজয়ী হয়েছেন। ৬টির মধ্যে জিতেছে ৪টিতে
এ নির্বাচনে বেশিরভাগ সাধারণ আসনে কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদেও জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা।
সিটি করপোরেশন নির্বাচনি আইন অনুযায়ী, শুধু মেয়র পদপ্রার্থীরা দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করতে পারেন। আর কাউন্সিলর পদপ্রার্থীদের দল থেকে সমর্থন দেওয়া হয়।
সেই অনুযায়ী, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ২৭ ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলরদের সমর্থন দেওয়া হয়। কিন্তু এর বাইরেও প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডে একাধিক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ভোটে অংশগ্রহণ করেন।
অপরদিকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির কোনো মেয়র প্রার্থী দেয়নি। বরং দল থেকে পদত্যাগ করে নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার কারণে বিএনপি তাদের দুই নেতাকে বহিষ্কার করেছে। কিন্তু কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করেছেন দলের প্রায় দেড় ডজন নেতাকর্মী, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি দলটি।
তৃতীয় সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচজন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১০৬ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ঘোষিত বেসরকারি ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, নগরীর ২৭টি সাধারণ আসনে কাউন্সিলর পদে এবং নয়টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদের অধিকাংশেই জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ বিএনপি এবং জামায়াত সূত্র জানায়, নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২০টিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের জয় হয়েছে। বিএনপি নেতারা চারটি, জামায়াতে ইসলামীর নেতারা তিনটিতে জয় পেয়েছেন।
আর নয়টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদের মধ্যে সাতটিতেই জয় পেয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের সমর্থিতরা। একটি বিএনপি এবং বাকি একটিতে জিতেছেন জামায়াতের কর্মী।
ফলাফল অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা যেসব ওয়ার্ডে জিতেছেন সেগুলো হচ্ছে- ২ নম্বর ওয়ার্ডে গাজী গোলাম সরওয়ার শিপন, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সরকার মাহমুদ জাবেদ, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে নাছির উদ্দিন নাজিম ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে আমিনুল ইকরাম।
৭ নম্বর ওয়ার্ডে আবদুর রহমান, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে জমির উদ্দিন খান জম্পি, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে হাবিবুর আল আমিন সাদী, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে কাজী জিয়াউল হক মুন্না, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে আবুল কালাম আজাদ হাসেম, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে জাহাঙ্গীর আলম বাবুল, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে হানিফ মাহমুদ, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে শওকত আকবর, ২০ নম্বর ওয়ার্ডে আনোয়ার হোসেন, ২২ নম্বর ওয়ার্ডে আজাদ হোসেন, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে আনিছুজ্জামান হানিফ, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে এমদাদ উল্লাহ, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে আবদুস সাত্তার এবং ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে আবুল হাসান।
বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে সাইফুল বিন জলিল, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে রেজাউল করিম, ২১ নম্বর ওয়ার্ডে কাজী মাহবুবুর রহমান এবং ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে মহিবুর রহমান তুহিন কাউন্সিলর পদে জয়লাভ করেছেন।
জামায়াতে ইসলামীর নেতা কাজী গোলাম কিবরিয়া ১ নম্বর ওয়ার্ডে এবং একরাম হোসেন বাবু ৮ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে জয়লাভ করেছেন। আর রাজিউর রহমান রাজিব জিতেছেন ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে।
সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের নেত্রীরা যেসব ওয়ার্ডে বিজয়ী হয়েছেন তারা হলেন- ১ নম্বর সংরক্ষিত আসনে কাউছারা বেগম সুমি, ২ নম্বরে নাদিয়া নাসরিন, ৩ নম্বরে উম্মে কুলসুম, ৫ নম্বরে নূর জাহান আলম পুতুল, ৬ নম্বরে নেহার বেগম, ৮ নম্বরে ফারহানা পারভিন এবং ৯ নম্বরে শাহিন আক্তার।
এছাড়া ৪ নম্বর আসনে বিএনপির রুমা আক্তার এবং ৭ নম্বর আসনে জামায়াতের তাহমিনা আক্তার বিজয়ী হয়েছেন।