দলীয় কর্মসূচি পালনে ঝিমিয়ে পড়েছে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগ। তবে নিজেদের অখের গোছাতে ব্যস্ত সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আশিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সুমন হোসেন। জেলা আওয়ামী লীগ নেতার কেন্দ্রিক রাজনীতি করায় দলীয় কর্মসূচি পালন করেন না। এভাবে চললে আমাদের দলের অস্তিত্ব থাকবে না বলেও মনে করেন তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিএনপি ও তাদের সহযোগিতা সংগঠনের নেতারা কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় সোমবার সারা দেশে কর্মসূচি পালন করে ছাত্রলীগ। তবে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগ কোন কর্মসূচি পালন করেনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যে সময়ে সারাদেশে ছাত্রলীগ কর্মীর কর্মসূচী পালনে ব্যস্ত, সাতক্ষীরা জেলা ছাত্র লীগের সভাপতি ছিলেন সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় সন্ত্রাসী স্টাইলে ঘের দখলের পাঁয়তারা চালায়। সভাপতি এস.এম আশিকুর রহমান উপজেলার নগরঘাটার জাহাঙ্গীর হোসেন নামে এক ব্যাক্তির কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে জমি দখল দখল যজ্ঞ চালায় বলেও অভিযোগ উঠেছে। এমনকি এ ঘটনায় মামলাও হয়েছে।
অপরদিকে, জেলা ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন হোসেন সেসময়ে ব্যস্ত ছিলেন সাতক্ষীরার পানি উন্নয়ন বোর্ডে মানবজমিন পত্রিকার সাংবাদিক ইয়ারব হোসেনকে বেধড়ক পেটানোর ঘটনায় অভিযুক্ত প্রকৌশলীকে বাঁচানোর তদবিরে।
এদিকে, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শেখ শরিফুজ্জামান সজীব ও মমতাজুল ইসলাম চন্দনের নেতৃত্বে শহরের আমতলা মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে তালতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে এসে মিলিত হয়।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা বলছেন, সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের দুই সদস্যের কমিটি অনুমোদনের পর থেকেই নানা কারণে ঐতিহ্যবাহী সংগঠনকে কলংকিত করা হচ্ছে। সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সুমন হোসেনের নেতৃত্বে বেশি অপকর্মে হচ্ছে বলেও তারা জানিয়েছে ।
স্থানীয় সূত্র ও ছাত্রলীগের ৮ সদস্যের একাধিক নেতা দাবি করেছেন, সুমন হোসেন খুব জোরেই দাবি নিয়ে বলেন, ‘আমি ৩০ লাখ টাকা খরচ করে জেলা ছাত্রলীগের নেতা হয়েছি, এখন ব্যবসা-চাঁদাবাজি করে এবং কমিটি বিক্রি করে টাকা উঠাচ্ছি, কেউ আমার কিছুই করতে পারবে না।
সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এজাজ আহমেদ স্বপন বলেন, দেশরত্ন শেখ হাসিনা আপাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগ একটা প্রতিবাদ মিছিল করতে পারলো না। আর ছাত্রদল ঠিকই বিক্ষোভ মিছিল করলো। এ লজ্জা রাখবো কোথায়? জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে অনুরোধ করবো কে কার গ্রুপে রাজনীতি করে এসব বাদ দিয়ে সবাইকে নিয়ে রাজনীতি করুন। কোন নেতার রাজনীতি করা থেকে বেরিয়ে এসে প্রকৃত আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তানদের দিয়ে কমিটি করে সংগঠনকে অনতিবিলম্বে শক্তিশালী করে তুলুন। না হলে পরিস্থিতি আগামীতে আরও ভয়াবহ হবে।
সাতক্ষীরা জেলা ছাত্র লীগের সভাপতি আশিকুর রহমান বলেন, সোমবারে শুধু কেন্দ্রের কর্মসূচী ছিল, জেলা পর্যায়ের কর্মসূচী না। তবে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্র লীগের আজ ও আগামীকাল দু’দিন কর্মসূচী রয়েছে।
তবে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন হোসেনকে ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি।