শেখ রাসেল, বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ
ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির কারণে সিলেট ও সুনামগঞ্জকে জাতীয় দুর্যোগপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করা, অনতিবিলম্বে পানিবন্দীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে ফিরিয়ে আনা ও
ত্রাণ সহায়তার দাবিতে মানববন্ধন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেট বিভাগীয় ছাত্রকল্যাণ সমিতি।
শুক্রবার (১৮ জুন) বিকাল ৪:৩০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সিলেট বিভাগের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় তারা মিডিয়ার খামখেয়ালিপনা ও প্রশাসনের গড়িমসি ব্যক্ত করে অতিদ্রুত বন্যার্তদের সার্বিক সহযোগিতার জন্যে আহবান জানান৷ সেই সাথে সিলেট-সুনামগঞ্জকে জাতীয় দুর্যোগপূর্ণ এলাকা ঘোষণার দাবি করেন তারা।
পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাকবি আহসান রামিম বলেন, সিলেট এসোসিয়েশনের ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থীদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ নাই। ঘরবাড়ি পানিতে ভেসে যাচ্ছে। প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা বাজেট দেয়া হয়, কি হবে এই বাজেট দিয়ে যদি দূর্যোগের সময় আমাদের দেশের মানুষ আশ্রয় না পায়। তারপর আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন আট হাজার প্যাকেট খাবার পাঠানো হইছে, যেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষ পানিবন্দী। সবাই টিভির সামনে বসে বক্তৃতা দিচ্ছেন অথচ সেনাবাহিনীর উদ্ধার কাজের জন্যে বুট নাই। আমাদের যা ক্ষতি হবার কাল রাতেই হয়ে গেছে। আমাদের কোনো চাওয়া পাওয়া নাই। একটাই দাবি পানিবন্দী মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসেন।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ওবায়দুল হক বলেন, দুঃখের বিষয় বন্যার এমন পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী মোতায়েনের জন্যে গতকাল আমাদের দাবি জানাতে হয়েছে।সরকার কি জানেনা সিলেট-সুনামগঞ্জ আকস্মিক দূর্যোগপ্রবন এলাকা! হাজার হাজার মানুষ আটকে আছে, নিখোঁজও হয়েছে। আমরা মানববন্ধনের মাধ্যমে আটকে থাকা পানিবন্দী মানুষদের উদ্ধারের জন্যে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস ইউনিট মোতায়নের দাবি জানাই। সেই সাথে সিলেট ও সুনামগঞ্জকে জাতীয় দুর্যোগপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করা হোক।
ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের মাস্টার্সে শিক্ষার্থী শিকদার মাহবুব বলেন, সিলেটে ঘরবাড়ি পশুপাখি ভেসে যাচ্ছে, মানুষ ভেসে যাচ্ছে। কতটা অসহায় হলে একটি স্বাধীনদেশ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের মানুষ এত বড় বড় জিডিপি থাকতে ত্রানের জন্য আবেদন করছে! আমি সরকার ও আপামর জনসাধারণের নিকট অনুরোধ জানাচ্ছি সবাই স্ব স্ব জায়গা থেকে অর্থ বা শ্রম দিয়ে হোক বন্যার্তদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসুন।