আশাশুনি প্রতিনিধি: এক গৃহবধুকে শ্লীতাহানীর অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে হাফিজুল মালীর বিরুদ্ধে। গতকাল রাতে ঘটনাটি ঘটেছে আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের উত্তর একসরা গ্রামে।
এ ব্যাপারে থানায় লিখিত এজাহার সূত্রে ও এলাকা ঘুরে ভিক্টিমের পরিবার সহ আশেপাশের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে উত্তর একসরা গ্রামের আবু বক্কার মালীর সংসার চালানোর তাগিদে বরিশালে শ্রমিক হিসাবে মাটির কাজে যায়। প্রায় সময় এসব কাজে তাকে বাহিরে থাকতে হয়। এরই সুযোগে তার চাচাত ভাই একাধিক মামলার আসামী এলাকার ত্রাশ নারী লোভী লম্পট একই গ্রামের হাফিজুল মালী প্রায় সময় পথে ঘাটে বাড়ি যাওয়ার পথে আবু বক্কারের স্ত্রী মোছাঃ নাছিমা আক্তারকে কুপ্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় হাফিজুল মালী তাকে সহ দুই সন্তানকে ক্ষয়ক্ষতি করার জন্য হুমকি ধামকি দিতে থাকে। গতকাল রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে দুই সন্তানকে নিয়ে গৃহবধু ঘুমিয়ে পড়ে। রাতে প্রকৃতির ডাকে বাথরুমে যাওয়ার জন্য ঘরের দরজা খুলিয়া বারান্দায় নামা মাত্র পূর্ব হইতে ওৎ পেতে থাকা হাফিজুল মালী আমাকে কোনো কিছু না বলিয়া অসৎ উদ্দেশ্যে ঝাপটে ধরে। এসময়ে গৃহ বধুর চিৎকার চেচামেচি করার চেষ্টা করলে মুখ চেপে ধরিয়া বলে তোকে ও তোর বাচ্চাদের জানে মেরে ফেলব। যৌন হয়রানী করা সহ শ্লীতাহানী ঘটায়।
এরই মধ্যে গৃহবধুর বাছাও বাছাও বলে চিৎকার দিতে থাকলে ঘরের ভিতরে থাকা দুই সন্তান জেগে যায়। আশে পাশের লোকজন এ চিৎকারে হাফিজুল মালী পালিয়ে যায়। ব থানার আশ্রয় নেওয়ার কথা বলে। গৃহবধু এলাকার জনপ্রতিনিধি সহ গন্য এ ব্যাপারে দুই সন্তানের জননী বাদী হয়ে থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ের থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ মমিনুল ইসলাম পিপিএম এর সাথে কথা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন মধ্যম একসরা গ্রামের হাফিজুল মালী নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে শ্লীতহানীর অভিযোগে আবু বক্কার মালীর স্ত্রী লিখিত এজাহার দিয়েছেন। বিষয়টি পুলিশ তদন্ত পূর্বক সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।