২ লক্ষ টাকা নিয়ে সিলেটের বন্যা দুর্গতদের পাশে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা!

শেখ রাসেল, বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি:

সিলেটের বন্যা কবলিত মানুষদের দুই লক্ষ টাকা আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে পাশে দাঁড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ( বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।

” দেশের ক্রান্তিলগ্নে সজাগ বশেমুরবিপ্রবি ‘ এই স্লোগানকে সামনে রেখে সিলেট – সুনামগঞ্জে বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় , গোপালগঞ্জ এর শিক্ষার্থীদের পাঁচ সদস্যের একটি দল আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪ টায় রওনা করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ও সিলেট বিভাগীয় এসোসিয়েশন এর যৌথ উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক , শিক্ষার্থী , কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে প্রাপ্ত সহায়তার পরিমাণ ২০০,০০০ লক্ষ টাকার অধিক । আজ মঙ্গলবার সিলেটগামী প্রতিনিধি সেচ্ছাসেবীদের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা তারা প্রকাশ করেন।
তারা আরও বলেন, বন্যাকবলিত এলাকার জন্য ত্রাণ সহায়তা সংগ্রহ কার্যক্রম চলমান থাকবে । ভবিষ্যৎ এ বন্যার পরিস্থিতি বিবেচনা করে সে সহায়তাও পৌঁছে দেওয়া হবে । ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেয়ার জন্য আইন বিভাগের মো . নাঈম ইসলাম ( ১৬-১৭), এএসভিএম বিভাগের তানবীর আহমেদ হ্যারী (১৭-২৮) , সিএসই বিভাগের আল রাহিম দিহান (১৮-১৯) এবং মো . রুপন ইসলাম শুভ( ১৮-১৯), লোক প্রশাসন বিভাগের ফজলে রাব্বী ফাহিম (১৮-১৯) শিক্ষার্থী যাবেন বলে জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে পরিবেশ বিজ্ঞান ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী মুস্তাসিম বিল্লাহ হৃদয় বলেন, আলহামদুলিল্লাহ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা,কর্মচারীদের সার্বিক সহযোগিতায় সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যার্তদের উদ্দেশ্যে ত্রাণ সহায়তা নিয়ে সুনামগঞ্জের উদ্দেশ্যে ৫ সদস্যের টিম রওনা হয়ে গেছে । আমরা প্রায় দুই লক্ষ টাকা নিয়ে প্রথম দফার কাজ শুরু করেছি এবং পরবর্তীতে এ কাজ চলমান থাকবে। আমরা দুইধরনের প্যাকেজ করেছি, যেখানে এক প্যাকেজে শুকনা খাবার এবং দ্বিতীয় প্যাকেজে ভারী খাবার (চাল,ডাল,তেল,আলু,লবণ) থাকবে। দেশের প্রয়োজনে ও যে কোন ক্রান্তিলগ্নে মানবিক বশেমুরবিপ্রবি সব সময় মানুষের পাশে থাকবে ইনশাআল্লাহ।

উল্লেখ্য, গত ১১ মে ২০২২ থেকে আসাম ও অরুণাচল প্রদেশে ভারী বর্ষণের ফলে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলে সুরমা নদী,কুশিয়ারা নদী ও অন্যান্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়। প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষ পানি বন্ধী অবস্থায় আছে।

Check Also

আশাশুনির কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধে ধ্বস।।আতঙ্কিত এলাকাবাসী

আশাশুনি উপজেলা জামায়াতের রোকন সম্মেলন অনুষ্ঠিতএস,এম মোস্তাফিজুর রহমান(আশাশুনি)সাতক্ষীরা প্রতিনিধি।।আশাশুনি উপজেলা জামায়াতের মাসিক রোকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।