আব্দুস সাত্তার: বাংলাতেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও শ্যামনগর উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর মওলানা আবদুল বারী আজ সকাল ০৯:৫৫ মিনিটে ইন্তেকাল করেছেন,ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তিনি
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন।
মওলানা আবদুল বারী ১৯৮৯ সালে এবং ২০০৯ এর উপজেলা নির্বাচনে পরপর দুইবার শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি তৃতীয়বারের মতো উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
ব্যাপক জনপ্রিয় এই চেয়ারম্যান কে বিভিন্ন সময় নাজেহাল হতে হয়ে ছিল।
শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল বারী বহাল
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ১৪ জুন ২০১৬
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা মওলানা আবদুল বারীকে তার পদ থেকে বরখাস্ত ও অপসারণের আদেশ অবৈধ ও বেআইনী ঘোষণার হাইকোর্টের রায় বহাল রয়েছে। সরকারের করা আপিল সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ খারিজ করে দেয়ায় হাইকোর্টের রায় বহাল থাকে। ফলে মাওলানা আবদুল বারী উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বহাল থাকছেন।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সরকারের করা আপিলের ওপর শুনানি শেষে গতকাল সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির নিয়মিত বেঞ্চ ‘ডিসমিস’ আদেশ দেন।
আদালতে জি এম আবদুল বারীর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মো.আবদুল মনতাকিম। সরকারপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে জানুয়ারি ২০১৫ পর্যন্ত পরপর পাঁচটি মাসিক সভায় অনুপস্থিত থাকার কারণে তাকে ২০১৫ সালের ৩০ মার্চ বরখাস্ত করা হয় এবং পরবর্তীতে একই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর অপসারণ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ড. জুলিয়া মঈন স্বাক্ষরিত পত্রে বলা হয়, যেহেতু পরপর পাঁচটি মাসিক সভায় চেয়ারম্যান মওলানা আবদুল বারী অননুমোদিতভাবে অনুপস্থিত ছিলেন বলে প্রমানিত হয়েছে এবং কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবে তিনি তা স্বীকার করেছেন সেহেতু উপজেলা পরিষদের ১৯৯৮ এর ১৩/২ ধারা অনুযায়ী তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং ব্যক্তিগত শুনানির জন্য তাকে নোটিশ প্রেরণ ও জারি করা হলেও তিনি হাজির হননি বিধায় তাকে স্বীয় পদ থেকে অপসারিত করা হলো। একই সাথে উক্ত পদ শুন্য ঘোষণা করে শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ উপ নির্বাচনের আয়োজন করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে সুপারিশ করা গেল।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের বরখাস্ত এবং অপসারণেল এই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে মাওলানা আবদুল বারী হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। রিটে রুল জারির পর গত ৫ মে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি একেএম সাহিদুল হক সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ রুল নিষ্পত্তি করে শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে মাওলানা আবদুল বারীকে বরখাস্ত ও অপসারণের আদেশ অবৈধ ও বেআইনী ঘোষণা করেন। হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে সরকার। ওই আপিলের শুনানি শেষে গতকাল সোমবার সর্বোচ্চ আদালত সরকারের আপিল খারিজ করেন। ফলে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকে।
আইনজীবী ব্যারিস্টার মো.আবদুল মনতাকিম বলেন, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সরকারের করা আপিল আদালত খারিজ করে দিয়েছেন। ফলে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকলো। এখন শ্যামনগর উপেজেলা চেয়ারম্যান পদে মাওলানা আবদুল বারীর দায়িত্ব পালনে আর আইনগত বাধা নেই।
মওলানা আব্দুল বারী জামায়াতের কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও শ্যামনগর উপজেলার সাবেক আমীর। মওলানা আবদুল বারী ১৯৮৯ সালে এবং ২০০৯ এর উপজেলা নির্বাচনে পরপর দুইবার শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি তৃতীয়বারের মতো উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।