ঈদকে সামনে রেখে কঠোর নজরদারীতে সাতক্ষীরা সীমান্ত। সাতক্ষীরাস্থ ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন বিওপির জওয়ানরা সীমান্তে কঠোর নজর দারীর কারণে গত ৬ মাসে ১৭ কোটি ৬১ লক্ষ ৫৯ হাজার ৫১৪ টাকার চোরাচালানী পণ্য আটক করেছে। এরমধ্যে ২ কোটি ৬৫ লক্ষ ৯৯ হাজার ৫৬০ টাকার মাদক দ্রব্য। বাকী প্রায় ১৪ কোটি ৯৫ লক্ষ ৫৯ হাজার ৯৫৪ টাকার স্বর্ণ, রুপা, ইমিটেশানসহ অন্যান্য মালামাল রয়েছে।
বিজিবি ৩৩ ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লে: কর্নেল মোহাম্মাদ আল-মাহমুদ জানান, যেখানেই মাদক সেখানেই হানা দেওয়া হবে। কোন মাদক ব্যবসায়ীকে সীমান্ত এলাকায় প্রশ্রয় দেওয়া হবেনা। বর্তমানে সীমান্তে মাদক নির্মুল ও চোরাচালান বন্ধে বিজিবি’র জোয়ানরা অতন্দ্র প্রহরীর দায়িত্ব পালন করে চলেছে। তবে ইদানিং মাদক চোরাকারবারীরা রাতের আঁধারে মাদক দ্রব্য পাচার করে আনার সময় বিভিন্ন ধরণের অস্ত্র¿ সঙ্গে রাখে। যে কারণে বিজিবি জোয়ানদের সব সময় ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় জনগণকে সচেতন হয়ে চিহ্নিত মাদক চোরাকারবারীদের কে ধরার ব্যাপারে বিজিবি’র জোয়ানদের সাহায্য করার জন্য ৩৩ ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক অনুরোধ জানান। ইতোমধ্যে ৪৬ জন চোরাকারবারীর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সীমান্তের ১৩৮ কি: মি: ঘুরে বসবাসরত একাধিক ব্যক্তির সাথে আলাপ করে জানা যায়, বর্তমান ৩৩ বিজিবি’র অধিনায়ক লে: কর্নেল মোহাম্মাদ আল-মাহমুদ চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করার কারণে মাদকদ্রব্য ও চোরাকারবারী রাঘব বোয়ালদের আপাতত কোন হদিস বা কান দেখা যাচ্ছে না। তারা এখন পিছু হটতে শুরু করেছে। তবে রাতের আঁধারে কিছু ছিচকে চোরাকারবারীদের সীমান্তে ঘোরা ফেরা করতে দেখা যায়। ৩৩ বিজিবি আধিনায়ক জানান, ঈদুল আযহাকে সামনে। সেজন্য চোরাচালান রোধে সীমান্ত এলাকায় বিজিবি’র টহল জোরদার করা হয়েছে। তিনি চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবিকে সহযোগিতা করার জন্য সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন।