সাইফুল, যশোরঃ
ঋতুচক্রে মাস এখন আষাঢ়। কিন্তু ভ্যাপসা গরম কাটছে না। গরমে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এরমধ্যে আবার বিদ্যুৎ-বিভ্রাট (লোডশেডিং) মানুষের দুর্ভোগ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। গত কিছুদিন ধরে এ সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। সবচেয়ে বেশি সমস্যা দেখা দেয় দুপুর আর সন্ধ্যা নামলে। কোনো কোনো এলাকায় বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার মধ্যেই থাকছে। বিদ্যুৎ না থাকায় শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ক্ষতি হচ্ছে। ব্যাহত হচ্ছে শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন।
ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) যশোর অফিস সূত্রে জানা গেছে, যশোর-১ ও ২ এর অধীনে গ্রাহক রয়েছে এক লাখ ৫ হাজার। এরমধ্যে পৌর এলাকায় ৯০ ভাগ গ্রাহক। বাকিগুলো শহরতলীর। এখানে শনিবার বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৫৫ মেগাওয়ার্ট, সরবরাহ ছিল ৩৫ মেগাওয়ার্ট। ২০ মেগাওয়াট ঘাটতি নিয়ে ওজোপাডিকো গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সেবা দিয়েছে। যেকারণে গতকাল সারাদিন ছিল বিদ্যুতের ভেলকিবাজি। শুক্রবার ও শনিবার সরকারি অফিস ও ব্যাংক-বীমা বন্ধ থাকলেও ছিল বিদ্যুৎ বিভ্রাট। রবিবার ও ছিল একই অবস্থা। এতে শিক্ষার্থীসহ মানুষ কষ্টের মধ্যে দিন-রাত পার করেছেন। তীব্র গরমে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। নামাজের সময় লোডশেডিং হওয়ার কারণে বিপাকে পড়তে হচ্ছে মুসল্লিদের।
শহরের রেলগেট এলাকার আব্দুর রহমান জানান, তীব্র গরমের মধ্যে বিদ্যুতের চরম লোডশেডিংয়ের কারণে ঘরে থাকা যাচ্ছে না। শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ব্যবসা বাণিজ্যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
যশোর বিসিকের শিল্প প্রতিষ্ঠান এমইউসিইএ ফুডসের সত্ত্বাধিকারী শ্যামল দাস জানান, বিদ্যুতের চরম লোডশেডিংয়ের কারণে আমাদের কর্মীরা ঠিকমত কাজ করতে পারছে না। এতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
এব্যাপারে ওজোপাডিকো যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ৫৫ মেগাওয়াট, সরবরাহ পাচ্ছি ৩৫ মেগাওয়ার্ট। যেকারণে লোডশেডিং করতে হচ্ছে। বিদ্যুতের সরবরাহ বাড়লে আর লোডশেডিং থাকবে না।