বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের ফকিরহাটে মডেল মসজিদ নির্মানে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। অনিয়মের অভিযোগ এনে বাগেরহাট জেলা প্রশাসক এর বরাবর লিখিত অভিযোগে ফকিরহাট কারমতিয়া ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এ বি এম আব্দুল মান্নান জানান ফকিরহাট কারামতিয়া ফাজিল মাদ্রাসার তিন টি ভবন ভেঙে নিজস্ব সম্পত্তি দেওয়া হয়েছে যাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার মডেল মসজিদ নির্মিত হয়। মডেল মসজিদ টি নির্মানে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ডিজাইন বহিভুত মাদ্রাসার জমি দখল করে দক্ষিণ পাশে সীমানা প্রাচীন দিয়েছে কর্তৃপক্ষের বাঁধার কারনে কাজ বন্ধ আছে। ডিজাইন অনুযায়ী মসজিদের লেট্রিনের সেপটি টেকিং হবে মসজিদের উত্তর পাশে কিন্তু ঠিকাদার নিয়ম নিতির তোয়াক্কা না করে নির্মান করেছে দক্ষিণ পার্শ্বে। তাছাড়াও ঠিকাদার মসজিদ নির্মান কাজে নিম্নমানের ইট,বালু,সিমেন্ট, খোয়া গ্রেড ছাড়া রড অসারি কার্ড দিয়ে দরজার ফ্রেম পুরানো লোহার সামগ্রী ব্যবহার করে গিরিল পুরানো বাতিল প্লাস্টিকের দরজা, ব্যাবহার করে তড়িঘড়ি করে দায়সারা কাজ করে যাচ্ছে।
স্থানীয়দের দাবি নিম্ন মানের মালামাল ব্যবহারের কারনে কাজের শুরুতেই জনগণের বাঁধার মুখে নির্বাহী প্রকৌশলী সরজমিনে এসে সকল নিম্ন মানের মালামাল ফেরত পাঠিয়ে দেন এবং ঠিকাদার কে শতর্ক করে দেন এ ধরনের কাজ না করার। কিন্তু প্রবাদে আছে চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী। রাতের আধারেও নিম্ন মানের মালামাল দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এক পর্যায়ে গতপরশু স্থানীয় জনগন এবং মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আবারও কাজে বাঁধা প্রদান করলে ৩রা জুলাই রবিবার বিকালে ফকিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঠিকাদার, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এবং উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতিকে নিয়ে এ বিষয়ে শুনানি করেন এবং তিনি সরজমিন পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের বলেন যদি কেউ আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে তখন আমি এ বিষয়ে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহণ করবো।
অপরদিকে কোন এক অদৃশ্য শক্তির বলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এর মালিক সাংবাদিকদের বলেন আপনাদের যত ইচ্ছা নিউজ করেন তাতে আমার কিছু যায় আসে না আমি গোপালগঞ্জের ছেলে।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সাংবাদিকদের বলেন আল্লাহর ঘর মসজিদ নির্মানে কোন ধরনের দুর্নীতি আমরা মেনে নিবো না। প্রয়োজনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সরানপন্ন হবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান এ মডেল মসজিদ আর সেই মসজিদ নির্মানে যদি কোন অসাধু কমকর্তা এবং ঠিকাদারের কারণে নিম্ন মানের মালামাল ব্যাবহার ও দূর্নীতির আশ্রয় নেওয়া হয় তাহলে একদিকে যেমন প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন পূরণে বাধাগ্রস্ত হবে অন্যদিকে ধর্মপ্রান মুসল্লীদের হৃদয়টা ছিড়ে যাবে বলে মনে করছেন এলাকার সচেতন মহল।
তাই বিষয়টি কর্তৃপক্ষ অতি দ্রুত নজরে এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।