নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার দেবহাটায় ইবতেদায়ী মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার চক্রান্তের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, দেবহাটা উপজেলার নাজিরের ঘের এলাকার মৃত. ছফেদ আলীর পুত্র ও নাজিরের ঘের ইবতেদায়ী মাদ্রাসা সহকারী শিক্ষক আব্দুল বারী সানা।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, দেবহাটার নাজিরের ঘেরে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে সুনামের সাথে শিক্ষাদান করে আসছি। অল্প কিছুদিন আমার চাকুরির বয়স রয়েছে। মাদ্রাসায় চাকুরি করলেও আমি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আমি পারুলিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি।
কিন্তু অত্র এলাকার অধিকাংশ মানুষই জামায়াত-বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকায় আমাকে নানাভাবে হয়রানির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তারা। এমনকি আমাকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করে প্রতিষ্ঠান থেকে বিতাড়িত করার চক্রান্তও চালিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। কোন ভাবেই আমাকে ফাঁসাতে না পেরে ৫ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানি করেছে এমন মিথ্যা গল্প সাজিয়ে আমার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে ওই কুচক্রী মহলটি। এরপর ওই কুচক্রী মহল এলাকার কতিপয় ব্যক্তিদের দিয়ে আমার বিরুদ্ধে একটি মানববন্ধন করে। আমার বয়স প্রায় ৬০ এর কাছাকাছি এ বয়সে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানি করা আমার পক্ষে কিভাবে সম্ভব। এছাড়া আমি শারিরীকভাবে মারাত্মাক অসুস্থ আমি মাদ্রাসার গিয়ে ক্লাস রুমে গিয়ে ক্লাস নেওয়া ছাড়া কোথায় যাই না। ক্লাসের মধ্যে এভাবে একটি শিশু কন্যার গায়ে হাত দেবো অন্যরা দেখতে পাবে না এটি কিভাবে হতে পারে।
প্রকৃতপক্ষে ওই কুচক্রী মহল ছলে বলে কৌশলে আমাকে ওই প্রতিষ্ঠান থেকে তাড়াতে চান। এ কারনেই একের পর এক ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন। একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে এধরনের জঘণ্য মিথ্যা অপবাদ দিয়ে শুধু আমাকেই অপমানিত এবং হেয় করা হয়নি, শিক্ষক সমাজের মাথাকে হেয় করা হয়েছে। এখানেই শেষ নই, পত্র-পত্রিকায় ওই মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে আমাকে নিয়ে প্রায়ই সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে। ফলে আমি এবং আমার পরিবারের সদস্যরা রাস্তায় বের হতে পারছি না। চরমভাবে আমার মান সম্মানের হানি ঘটেছে। তিনি উক্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ওই কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।