জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
এক শোকবার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শিনজো আবে আমার ঘনিষ্ঠজন ছিলেন এবং তিনি বাংলাদেশেরও বন্ধু ছিলেন।
শিনজো আবের ওপর গুলি চালানোর ঘটনা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, তার মৃত্যুতে জাপানের জনগণ এক অসাধারণ নেতাকে হারাল, একইসঙ্গে বাংলাদেশ হারাল তার একজন অকৃত্রিম বন্ধুকে।
তিনি শিনজো আবের বিদেহী আত্মার চিরশান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্য এবং জাপানের জনগণের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় নারা শহরে এক ক্যাম্পেইনে বক্তব্য দেওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। জাপানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, শিনজো আবে যখন বক্তৃতা দিচ্ছিলেন তখন তাকে পেছন থেকে গুলি করা হয়। সেই সময় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। গুলিতে ৬৭ বছর বয়সী শিনজো আবের ঘাড়ের ডান পাশে এবং বাম কলারবোনে আঘাত লাগে। দুবার তার গায়ে গুলি লাগে।
গুলিবিদ্ধ হয়ে সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন শিনজো আবে। রক্তক্ষরণ শুরু হলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হয়।
হাসপাতালে নেওয়ার পর জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, শিনজো আবেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং তার অবস্থা ‘খুবই গুরুতর’।
কিশিদা বলেছিলেন, তিনি মন থেকে প্রার্থনা করছেন আবে আবার ফিরে আসবে। তিনি এ হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, সরকারের সব মন্ত্রীদের টোকিওতে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে নির্বাচনের তফসিল সংশোধনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এনএইচকে জানিয়েছে, আবেকে গুলি করার অভিযোগে পুলিশ ৪১ বছর বয়সি ইয়ামাগামি তেতসুয়াকে গ্রেফতার করেছে। তার হাত থেকে বন্দুকটি জব্দ করা হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
আবের রাজনৈতিক দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির কর্মকর্তারা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, আবেকে পেছন থেকে গুলি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অস্ত্রটি হাতে বানানো।