নতুন গভর্নরের দায়িত্ব নিলেন আব্দুর রউফ

বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর হিসেবে যোগদান করেছেন আব্দুর রউফ তালুকদার। মঙ্গলবার সকালে দেশের ১২তম গভর্নর হিসেবে কার্যালয়ে যোগ দেন তিনি। আব্দুর রউফ তালুকদার সদ্য সাবেক গভর্নর ফজলে কবিরের স্থলাভিষিক্ত হলেন।

গত ১১ জুন অর্থসচিব আব্দুর রউফ তালুকদারকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব মো: জেহাদ উদ্দিনের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার ১৯৭২-এর আর্টিকেল ১০(৩) এবং ১০(৫) অনুযায়ী অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদারকে সরকারি চাকরি হতে অবসর গ্রহণ এবং অন্যান্য সব প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে তার যোগদানের তারিখ থেকে চার বছরের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর পদে নিয়োগ প্রদান করা হলো।’

আব্দুর রউফ তালুকদার ১৯৮৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে (বিসিএস ১৯৮৫ ব্যাচ) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। দীর্ঘ বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে বিভিন্ন সরকারি পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে পাবলিক ফাইন্যান্স এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় বিশেষত্বের কারণে তার কর্মজীবনের বেশির ভাগ সময়ই কেটেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগে। তিনি ছিলেন

অর্থ সচিব ।

২০১৮ সালের ১৮ জুলাই অর্থসচিবের দায়িত্ব নেয়ার আগে অর্থ বিভাগে ১৮ বছরেরও বেশি সময় কাজ করেছেন আব্দুর রউফ তালুকদার। এ ছাড়া দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি শিল্প মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং তথ্য মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ হাইকমিশনে কুয়ালালামপুরে প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) হিসেবেও কাজ করেছেন।

রউফ তালুকদার প্রায় চার বছর জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে সফলতার সঙ্গে অর্থ সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন। অর্থ সচিবের দায়িত্ব পালনকালেই ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে ৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ (বিবিএসের নতুন হিসাবে, পুরোনো হিসাবে ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ) অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি (জিডিপি প্রবৃদ্ধি) অর্জিত হয়; যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি।

দুই বছরের বেশি সময়ের করোনা মহামারীর সংকট মোকাবিলাতেও অর্থ সচিব হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি। চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কা সামলে অর্থনীতিকে সঠিক পথে আনতেও রউফ তালুকদার বিশেষ ভূমিকা রাখছেন।

বিসিএস ৮৫ ব্যাচের আব্দুর রউফ তালুকদারকে ২০১৮ সালের ১৭ জুলাই অর্থ সচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে পদমর্যাদা দেয়া হয়। করোনাকালীন দেশের অর্থনীতির ক্রান্তিকালে তিনি অর্থনীতি চাঙা করার জন্য বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় তার পরামর্শ রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে প্রশংসিত হয়েছে।

Check Also

ভোমরা বন্দরে চার মাসে ৪০০ কোটি টাকা আয়

দক্ষিণবঙ্গ সাতক্ষীরার আধুনিক নিরাপদ ও পরিবেশ বান্ধব বাণিজ্যিককেন্দ্র ভোমরা স্থল বন্দর। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।