কৃষ্ণসাগর দিয়ে খাদ্যশস্য রপ্তানিতে সমঝোতায় পৌঁছেছে ইউক্রেন ও রাশিয়া। এ নিয়ে তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে একটি চুক্তি হতে যাচ্ছে দুই পক্ষের মধ্যে। এই চুক্তির ফলে ইউক্রেনে আটকা পড়া শস্য আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করতে পারবে। এতে করে গত কয়েক মাস ধরে বিশ্বে খাদ্যের যে উচ্চ মূল্য দেখা যাচ্ছে তা কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্টের তরফ থেকে এই সম্ভাব্য চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা।
খবরে জানানো হয়েছে, তুরস্ক এই চুক্তিতে মধ্যস্ততা করবে। জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন এ বৈঠকে থাকবেন মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরাঁ। তা ছাড়া মধ্যস্থতাকারী তুরস্কের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে হবে চুক্তি সই। তুরস্কের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন এক টুইটবার্তায় জানান, শস্য রপ্তানি চুক্তিটি বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইস্তাম্বুলে শুক্রবার প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েফ এরদোগান ও জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় ইউক্রেনীয় ও রাশিয়ান প্রতিনিধিদের চুক্তি সই হবে।
ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের জেরে বিশ্বজুড়ে খাদ্যপণ্যের দাম কয়েক দফা বেড়ে গেছে।
ফলে খাদ্যসংকটে পড়েছে অনেক দেশ। গত দুই মাস ধরে খাদ্যপণ্যের দাম কমাতে যুদ্ধরত দেশগুলোর সঙ্গে দফায়-দফায় আলোচনা করে আসছে জাতিসংঘ ও তুরস্ক। অবশেষে সেই উদ্যোগ সফল হতে যাচ্ছে। বিশ্বে খাদ্যের ১০ ভাগের এক ভাগ সরবরাহ করে রাশিয়া ও ইউক্রেন। বৈশ্বিক গম রপ্তানির ৩০ শতাংশের পাশাপাশি সূর্যমুখী তেলের ৬০ শতাংশ উৎপাদন করে তারা। কমপক্ষে ২৬ দেশ তাদের অর্ধেকেরও বেশি খাদ্যশস্যের জন্য রাশিয়া-ইউক্রেনের ওপর নির্ভরশীল।
এই চুক্তির ফলে আগামি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে রপ্তানি চালু করতে পারবে ইউক্রেন। দেশটিকে এ জন্য যথাযথ নিরাপত্তার গ্যারান্টি দেবে রাশিয়া। এখন পর্যন্ত দেশটির ওডেসা বন্দর রুশ দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত আছে। সেখান দিয়েই এই পণ্য কৃষ্ণ সাগর দিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে পাঠানো হবে।