‘আওয়ামী লীগ সরকারকে বিএনপি ধাক্কা দিয়ে সরাতে পারবে না। বিএনপি ২০১৩ সালে থেকে কখনো জামায়াতকে নিয়ে, কখনো হেফাজতকে নিয়ে ধাক্কা দিয়ে যাচ্ছে। সরকারকে নড়াতে-সরাতে সক্ষম হয়নি। বরং সরকারকে ধাক্কা দিতে গিয়ে বিএনপি নিজেই মুখ থুবড়ে পড়ে গেছে।’
শনিবার সকালে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর সরকারি হাসপাতাল মাঠে কামরাঙ্গীরচর থানা এবং ৫৫, ৫৬, ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. মো. আবদুর রাজ্জাক।
মন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গি বিএনপি, লুটেরা বিএনপি ও সন্ত্রাসী বিএনপির পায়ের নিচে মাটি নেই। ২০০১-২০০৬ সালে ক্ষমতায় থেকে তারা নিজেদের কবর নিজেরাই খুঁড়েছে। সেই সময়ে ধর্মীয় জঙ্গি ও সন্ত্রাসী দিয়ে দেশে তাণ্ডব সৃষ্টি করেছিল; দেশটাকে লুটপাট করে শতশত কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছিল। সেই পাচার করা টাকায় তারেক জিয়া এখন লন্ডনে বসে খাচ্ছে, সিনেমা দেখছে এবং রিমোট কন্ট্রোলে দল চালাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘যে জিয়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ষড়যন্ত্রে ভূমিকা রেখেছিল- তারই ছেলে তারেক জিয়া বিদেশে থেকে ষড়যন্ত্র করছে। এ ষড়যন্ত্রকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কঠোরভাবে মোকাবিলা করবে।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সারাক্ষণ ভাঙা রেকর্ড বাজিয়ে চলেছেন উল্লেখ করে আবদুর রাজ্জাক বলেন, বিএনপি ও মির্জা ফখরুলরা এখনো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। দেশে পদ্মা সেতু চালু হয়েছে, সেতু দিয়ে গাড়ি চলাচল করছে- এটি এখনো মির্জা ফখরুল স্বীকার করতে চান না। জনশুমারিতে সরকার জনসংখ্যা কম দেখিয়েছে বলেও ডাহা মিথ্যাচার করছেন। দেশে ২০ কোটি মানুষ দেখালে মনে হয় মির্জা ফখরুল খুশি হতেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘পরিসংখ্যানবিদ, বিশেষজ্ঞ, বিজ্ঞানী, মাঠকর্মী, তথ্যসংগ্রহকারীদের সমন্বয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় জনশুমারি হয়েছে। সেখানে জনসংখ্যা কম বা বেশি দেখানোর সুযোগ নেই। সরকার জনসংখ্যা কম দেখাবে কেন, বরং বেশি দেখানোর কথা।’
সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, সহসভাপতি আওলাদ হোসেন ও অন্যান্য নেতারা বক্তব্য দেন।