সারা দেশে লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে ঝালকাঠিতে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে আওয়ামী লীগ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ হোসেনসহ অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা আইনজীবী সমিতির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন অভিযোগ করেন, বেলা ১১টায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের আহবান করা হয়। এতে অংশ নিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির গণ শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া উপস্থিত হয়। তাকে নিয়ে জেলা বিএনপির নেতারা আইনজীবী সমিতির সামনে দিয়ে দলীয় কার্যালয়ের দিকে যাওয়ার পথে পুলিশ তাতে বাঁধা দেয়।
এ সময় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে জেলা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হন। ফলে পণ্ড হয়ে যায় বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ।
আহতরা হলেন- জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ হোসেন, পৌর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট নাসিমুল হাসান, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এজাজ হাসান, জেলা যুবদলের আহবায়ক শামীম তালুকদার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি বাচ্চু হাসান খান, বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলাম লিমন ও জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক গোলাম আজম খান সোহানসহ ১০ জন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঝালকাঠিতে বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিতে আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সারা দেশে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালিত হলেও ঝালকাঠিতে আমাদের কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা এবং আওয়ামী লীগের হামলা হয়েছে। আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। আমরা এ ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক তরুণ কর্মকার বলেন, নাগরিক সমাজের উদ্যোগে একটি সমাবেশ চলাকালে বিএনপির নেতাকর্মীরা উচ্ছৃঙ্খল বক্তব্য দেওয়ায় তাদের ধাওয়া করে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কাউকে মারধর করা হয়নি ।
ঝালকাঠি অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খলিলুর রহমান বলেন, দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধলে পুলিশ মাঝখানে থেকে উভয়পক্ষকে সরিয়ে দেয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। শহরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।