আব্দুস ছাত্তার (কালীগঞ্জ):-
কালীগঞ্জে এসিআই এগ্রোলিংক উদ্যোগে ক্লাইমেন্ট রিসেস্মেন্ট সাস্টিনেবল ইনসেপশন ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত
কালীগঞ্জে এসিআই এগ্রোলিং এর আয়োজনে ২ আগস্ট রবিবার সকাল দশটায় কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সম্মেলন কক্ষে ক্লাইমেট রিসেস্মেন্ট সাস্টেনেবল শ্রীম ভেনু চেঞ্জ বাংলাদেশ বিষয়ক ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন জনিত টেকসই বিকল্প উৎস উদ্ভাবন বিষয়ক এক ওয়ার্কশপে কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে ও এসিআই এগ্রো লিংক ফিল্ড ম্যানেজার মোস্তাক মাহমুদের সঞ্চালনায় ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আনিসুর রহমান, অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন এসিআই লিমিটেড ম্যানেজিং ডিরেক্টর এন্ড সিইও ডক্টর ফা ম আনসারী, কালিগঞ্জ আঞ্চলিক মৎস্য কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার বসাক, কালীগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা নাজমুল হুদা, কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও তারালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হোসেন ছোট, থানা পুলিশ পরিদর্শক ওসি (তদন্ত )মিজানুর রহমান ওয়ার্কশপে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এসিআই কোম্পানির আনিসুর মোমিন , প্রজেক্টর এর মাধ্যমে তথ্য উপাত্ত তুলে ধরে ধরেন এ সি আই কোম্পানির পরামর্শক প্রফুল্ল কুমার সরকার, আলোচনা করেন ডোনার প্রতিনিধি সাদিকা তামাসিম ও মুস্তাফিজুর রহমান উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক সুকুমার দাশ বাচ্চু, মৎস্য চাষী প্রসাদ কুমার সরকার, বাবলু বিশ্বাস প্রমূখ। ওয়ার্কশপে বক্তারা বলেন জলবায়ু পরিবর্তন শুধু কৃষিতে নয় সব ক্ষেত্রেই জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটছে। আমরা দারিদ্রতার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই আছে এবং ভবিষ্যতে থাকবে। এসিআই অ্যাগ্র লিংক কোম্পানি কালীগঞ্জের তারালিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এটি অত্যন্ত গৌরবের বিষয়।এসিআই কোম্পানি বাংলাদেশের 30 থেকে 32 টি প্রোডাক্ট বাজারে আছে। দেশে এবং বিদেশে এই কোম্পানির সুনাম রয়েছে পাশাপাশি বাগদা চিংড়ি মাছ দেশে বিদেশে বাজারজাতকরণ কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত আছে ।কালীগঞ্জের এই অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে চিংড়ি চাষিরা বিভিন্ন সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে, বর্তমান উন্নত প্রযুক্তিতে মৎস্য চাষীদের বিভিন্ন প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ দিয়ে এবং ঋণ লোন দিয়ে তাদেরকে সহায়তা করতে চায় এসিআই এগ্রোলিংক ।এজন্য এ অঞ্চলে তারালিতে আগামী এক বছরের জন্য একটি পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি সফল হলে আগামী ১০ বছরের জন্য এ অঞ্চলের চিংড়ি চাষে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবেন এমনটি বলেছেন বক্তারা। বর্তমান বিশ্ববাজারে বাগদা চিংড়ি মাছের চাহিদা থাকলেও চিংড়ির গুনগত মান বিষয়ে অবস্থান ভালো না থাকায় বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের মার্কেট হারিয়ে যাচ্ছি, সেই জায়গা থেকে এসিআই এগ্রোলিং কোম্পানি মৎস্য চাষীদের উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং গুণগত মান রক্ষায় সবকিছুতে সহায়তা করতে চায়, যাতে চিংড়ি চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়ে মাছ চাষে এবং উৎপাদনে আরো আগ্রহী হয় এবং ব্যবসায় লাভবান হয়ে এই পেশা টিকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে এবং তাদের দারিদ্রতা দূর করতে পারে। চিংড়ি চাষীদের প্রযুক্তি দিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধি করে দারিদ্রতা কমিয়ে আনতে এসিআই এই প্রকল্প হাতে নিয়েছে। আগামী এক বছরের এই পাইলট প্রকল্পের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন। ওয়ার্কশপে মৎস্য চাষীর উদ্যোক্ত সরকারি কর্মকর্তা সাংবাদিক ও এসিআই এগ্রোলিং এর কর্মকর্তা কর্মচারীর উপস্থিত ছিলেন।