পুলিশের গুলিতে নিহত ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলমের জানাজায় উপস্থিত হয়ে কাঁদলেন বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপির নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয় সামনেই নিহত ছাত্রদল নেতার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই নয়াপল্টনে এসে জড়ো হন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী।
সকাল ১১টায় জানাজা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও হাসপাতাল থেকে লাশ আনতে দেরি হওয়ায় দুপুর সোয়া একটায় জানাজা শুরু হয়।
জানাজার পূর্ব মুহূর্তে বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, পিতার কাঁধে পুত্রের লাশ। এর চেয়ে বড় বেদনার, যন্ত্রণার আর কিছুই নেই। আমাদের ছেলে ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলমকে গুলি করা হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ সরকারের পুলিশ বাহিনী। গুলি করা হত্যা করা হয়েছে ভোলা জেলার স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিমকে। আর ১৯ জন ঢাকায় বরিশালের বিভিন্ন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।
তিনি বলেন, আজকে এটা নতুন নয়। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে তাদের একদলীয় শাসনকে পোক্ত করর জন্য আমাদের শত শত নেতাকর্মীকে গুম করেছে, হাজারো নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে, ৩৫ লাখেরও বেশি নেতাকর্মীর নামে মামলা দিয়েছে।
তাই আজকে আর কোন রোদন নয়, কোন ক্রন্দন নয় আজকে আমাদের জেগে উঠতে হবে। এই ভয়াবহ কর্তৃত্ববাদী প্রাতিষ্ঠ জুলুমবাদ সরকারের হাত থেকে এই জাতিকে রক্ষা করতে হবে। আমাদের গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তার জন্য প্রয়োজন সমস্ত জাতির ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে, গণ আন্দোলন সৃষ্টি করে আমাদের সন্তান, ভাই নূরে আলম এবং রহিমের হত্যার প্রতিশোধ নেবো ইনশাআল্লাহ। এসময় ছাত্রদল নেতা সভাপতি নূরে আলমকে হত্যার প্রতিবাদে ৭ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল।
কর্মসূচি: ৫-৭ আগস্ট ৩ দিন সারাদেশে শোক হিসেবে দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত এবং কালো পতাকা উত্তোলন ও দোয়া, ৬ আগস্ট জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের উদ্যোগে ঢাকায় সমাবেশ, ৭ আগস্ট জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের উদ্যোগে ঢাকাসহ সারাদেশে সমাবেশ, ৮ আগস্ট জাতীয়তাবাদী যুবদলের উদ্যোগে ঢাকায় সমাবেশ, ১০ আগস্ট জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে ঢাকায় সমাবেশ।