স্টাফ রিপোর্টার, যশোর :
যশোরের অভয়নগর উপজেলার ভৈরবনদে পুনরায় অবৈধ স্থাপনা
উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন (বিআইডব্লিউটিএ) কতৃপক্ষ। তবে এ আভিযানকে লোক দেখানো অভিযান বলে আখ্যা দিয়েছে স্থানীয় সচেতন মহল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, প্রায়স শোনা যায় ভৌরব নদে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কথা তবে উচ্ছেদের কয়েকদিনের মাথায় আবারও রাতারাতি এসকল স্থাপনা তৈরি করে নদীক্ষেকরা তাদের কর্মকান্ড চালায়। আর এসকল কর্মকান্ড চালানোর জন্য কতৃপক্ষের সঠিক মনিটরিং না থাকাকেই দ্বায়ী করেছেন তারা।
১০ আগস্ট বুধবার বাংলাদেশ
অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটিএ নির্বাহী ম্যাজিট্রেট শোভন রাংসা, যুগ্ন পরিচালক মোঃ আশরাফ হোসেন, অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) তানজিলা আক্তার, অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম শামিম হাসান ও নওয়াপাড়া নদীবন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক মাসুদ পারভেজ উপস্থিত
নওয়াপাড়া নদীবন্দর এলাকার ভৈরবনদের নওয়াপাড়া ব্রাইট ঘাট থেকে সকাল ১০ টা থেকে সন্ধা ৭ টায় নওয়াপাড়া ফেড়ি ঘাট এলাকায় অবৈধ মোট ৯টি স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করার পর শুরু হয় এ বিষয়ে আলোচনা সমালোচনা।
নওয়াপাড়া নদীবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্র জানা গেছে, ভৈরব নদের অভয়নগর উপজেলার মাইলপোষ্ট থেকে সদর উপজেলার আফ্রা পর্যন্ত নওয়াপাড়া নদীবন্দর। এই নদীবন্দর এলাকায় নদের মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫ কিলোমিটার। নদীবন্দর এলাকায় অবৈধ স্থাপনা রয়েছে ৬০ টি এর মধ্য বিআইডব্লিউটিএ গত বছর ২৯ ডিসেম্বর এক্সেভেটর দিয়ে ১০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে হয়। ইতিপূর্বে ২০১৬ সালের অক্টোবরে দুই দফা অভিযান চালিয়ে ২৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। অবশিষ্ট ৩১টি স্থাপনার মধ্যে আঞ্চলিক কর কমিশনারের ভাড়া করা কার্যালয়, নওয়াপাড়া হাইওয়ে থানার সীমানা প্রাচীর এবং কয়েকজন প্রভাবশালী বড় ব্যবসায়ীর গুদাম রয়েছে। এ কারণে তখন উচ্ছেদ অভিযান আর এগোয়নি। গতবছর করোনাকালে শ্রমিকের পরিবর্তে যান্ত্রিকভাবে (লং বুম এস্কেভেটর দিয়ে) বার্জ, কার্গো ও কোস্টার থেকে পণ্য খালাস করতে নদের মধ্যে ২২টি জেটি নির্মাণ করা হয়। মাটি ভরাট করে তৈরি এসব জেটি পরে আর অপসারণ করা হয়নি।
নওয়াপাড়া নদীবন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক মাসুদ পারভেজ বলেন, ভৈরব নদে অঅনুমোদিত যে সমস্ত জেটি নির্মাণ করা হয়েছে সেগুলো উচ্ছেদ উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উচ্ছেদের বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ
নির্বাহী ম্যাজিট্রেট শোভন রাংসা বলেন,‘ নদীবন্দর এলাকায় ভৈরব নদে ৮৬টি অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। গতকাল অভিযান চালিয়ে এর মধ্যে ৯টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে। পর্যায়ক্রমে অভিযান চালিয়ে নদের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।