বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান বলেছেন, “দুর্নীতি ও দুঃশাসনের কবলে পড়ে মানুষ আজ দিশেহারা । সরকারের দুঃশাসন, অসহনীয় লোডশেডিং, জ¦ালানি তেলের অসহনীয় মূল্যবৃদ্ধি এবং লাগামহীন দ্রব্যমূল্যে দেশবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এমতাবস্থায় দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। তিনি অবিলম্বে দলনিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে দেশবাসীকে দুঃশাসন থেকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার যেভাবে এদেশের মানুষের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছে তার বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করে গণতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে ইনসাফপূর্ণ সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে জামায়াতে ইসলামী সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। “দেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধশালী ও কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে হলে দেশে কুরআনের শাসনের কোনো বিকল্প নেই। মানবতার মুক্তি ও কল্যাণ সাধনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কাজ করছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর এ মহতী কাজে সহযোগিতা করার জন্য দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান তিনি।
সাতক্ষীরা সাংগঠনিক জেলা শাখার আমীর হাফেজ মুহাদ্দিস রবিউল বাশারের সভাপতিত্বে এবং জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আজিজুর রহমানের সঞ্চালনায় ১২ আগস্ট সকাল ৯টায় এই ভার্চুয়ালি সদস্য (রুকন) সম্মেলন অনুষ্টিত হয়। সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও চট্টগ্রাম মহানগর আমীর মুহাম্মদ শাহজাহান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দীস আব্দুল খালেক, খুলনা অঞ্চল টিম সদস্য ও বাগেরহাট জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা মশিউর রহমান। সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে সন্ধা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ভার্চুয়ালি এ রুকন সম্মেলনে সাতক্ষীরা জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের রুকনগণ অংশ গ্রহণ করেন।
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান আরো বলেন, বাংলাদেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধশালী দেশে পরিণত করতে জামায়াতে ইসলামীর সদস্যদেরই প্রধান ভূমিকা পালন করতে হবে। নিজেদের যথাযথ মানোন্নয়ন করতে পারলেই আমরা ইসলামী সমাজ কায়েমের দিকে এগিয়ে যেতে পারবো, ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন এ জন্য আমাদেরকে জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করতে হবে। কোরআন-হাদিস নিয়মিত অধ্যয়ন করতে হবে এবং জীবন হতে বিপরীত চরিত্র তথা মুনাফিকি পরিহার করতে হবে। মানবতার কল্যাণে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, সাতক্ষীরা ইসলামের জন্য সম্ভাবনাময় জেলা। এ জেলার মানুষেরা প্রাচীন কাল থেকেই ইসলামী অনুশাসন মেনে চলতে অভ্যস্থ। যে কোন ধরণের ইসলাম বিদ্বেষী ষড়যন্ত্র এ জেলার ইসলাম প্রিয় মানুষ প্রতিহত করেছে। আগামীতেও করবে ইনশাল্লাহ। এদেশে যারা আলেম ওলামাদের উপর জুলুম নির্যাতন চালাচ্ছে আল্লাহ তাদের উপর কঠিন প্রতিশোধ নিবেন। তিনি আরো বলেন সময় থাকতে ক্ষমতা থেকে সরে দাড়ান।
সদস্য সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওঃ মুহাম্মদ শাহাজাহান, বলেন, যে ত্যাগ ও কোরবানির নজরানা পেশ করেছিলেন মুসলিম জাতির পিতা, আল্লাহর বন্ধু হযরত ইব্রাহীম আ:। আমাদেরকে সেখান থেকে শিক্ষা নিতে হবে। তিনি নিজের জীবন-মৃত্যু, নিজের নামাজ, নিজের কোরবানি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই করেছিলেন। তিনি আরো বলেন,সংগঠনের রুকন (সদস্য) মানে হচ্ছে আল্লাহর সাথে করা বেচা-কেনার চুক্তি মৃত্যুু পর্যন্ত লালন কর। একইসাথে নিজের জীবনের সবকিছু আল্লাহর কাছে বিলীন করে দিয়ে সব ধরনের পরীক্ষাকে নিজের জীবনের পরীক্ষা হিসেবেই গ্রহণ করা। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।