এ্যাসিল্যান্ড ও প্রধান সহকারীর স্বাক্ষর জালিয়াতির মামলায় সাতক্ষীরার শ্যামনগরের কাশিমাড়ী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আবু সুফিয়ানকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। রোববার ১৪ আগস্ট রাতে আবু সুফিয়ানের নিজস্ব বাড়িতে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সাতক্ষীরা জজকোর্টের আইনজীবী কাশিমাড়ীর এলাকার এড. আজিবর রহমানের দায়েরকৃত মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলার বাদী এড. আজিবর রহমান বলেন, ২০২০ সালের দিকে নায়েব আবু সুফিয়ানের কাছে জমির মিউটিশন করার জন্য যান। সে সময় মিউটিশন বাবদ কিছু টাকাও দেওয়া হয় নায়েব সুফিয়ানকে। কয়দিন পর নায়েব তাকে একটি মিউটিশনের কপি দেন। ওই কপিতে এ্যাসিল্যান্ড ও সাবেক হেড নায়েবের স্বাক্ষর ছিলো। পরবর্তীতে ওই কপি নিয়ে খাজনা দিতে গেলে ভূমি অফিস তাকে জানান স্বাক্ষরগুলো সবই জাল। জাল স্বাক্ষরের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে তিনি উপায়ন্তর হয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন।
জেলা প্রশাসক তদন্তের শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে প্রেরণ করলে আবু সুফিয়ান উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সামনে স্বাক্ষর জালিয়াতির বিষয়টি স্বীকার করেন। পরবর্তীতে এবিষয়ে সাতক্ষীরা স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের করে। যার নং- ৬/২২। মামলাটি তদন্তের দুদকের কাছে প্রেরণ করে আদালত দুদকের তদন্তের সময়ও সুফিয়ান স্বাক্ষর জালিয়াতির বিষয়টি স্বীকার করেন। এরপর গত ৪ আগস্ট ২২ তারিখে উক্ত মামলায় আবু সুফিয়ানের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করে আদালত।
এবিষয়ে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ বলেন, তার বিরুদ্ধে আদালতের ওয়ারেন্ট থাকায় রোববার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নায়েব আবু সুফিয়ানের স্ত্রী আসমা খাতুন বলেন, আমার স্বামী কিছুই জানে না তাকে সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। এড. আজিবর রহমানের অনৈতিক কাজ করে না দেওয়ায় তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, শ্যামনগর সদরে আবু সুফিয়ানের রয়েছে বিশাল বহুল বাড়ি, রয়েছে আড়াই লক্ষ টাকা মূল্যের মটর সাইকেল এবং প্রাইভেটকার। একজন নায়েবের বেতন কত হলে এভাবে বিলাশ বহুল জীবন যাপন করা যায়।