শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি বলেছেন, ‘রাজনীতি শব্দটা আমাদের দেশে অত্যন্ত ইতিবাচকভাবে ব্যবহার হওয়ার কথা। কিন্তু অনেক আগেই তা পালটে ফেলা হয়েছে। এই নেতিবাচক ব্যঞ্জনার খলনায়ক জিয়াউর রহমান। এখন কেউ কারো সঙ্গে প্রতারণা করলে বলে তুমি আমার সঙ্গে পলিটিক্স করেছ। রাজনীতি শব্দটাকে বিষাক্ত করা হয়েছে সামরিকতন্ত্রের মধ্য দিয়ে। সেটির কারণেই অনেক জায়গায় রাজনীতি শব্দটা নেতিবাচক ব্যঞ্জনায় পরিণত হয়েছে।’
বুধবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে শিক্ষক সমিতি আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র: পেছন ফিরে দেখা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির ধারা হচ্ছে অমূল্য ধারা। বিশ্ব রাজনীতির একশ বছর বা তার বেশি সময় খেয়াল করলে দেখা যায় দুটি ধারায় বিভক্ত। একটি অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক উদারও মানবিকতার রাজনীতি আরেকটি ধর্মভিত্তিক। সেই অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন বঙ্গবন্ধু তার ধারাবাহিকতায় এখন শেখ হাসিনা। আওয়ামীগের রাজনীতি আদর্শভিত্তিক। কিন্তু অন্যদের রাজনীতি তার বিরোধিতা করা।’
এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শৈশবকাল থেকেই বাঙালি জাতির স্বাধিকারের বিষয়ে সজাগ ছিলেন। মেহনতি মানুষের কল্যাণে নিজের জীবনকে উজাড় করে দিয়েছিলেন। স্বাধীনতা-পরবর্তীতে বাঙালি জাতির ভাগ্য পরিবর্তন ও দেশকে গড়ার কাজে বঙ্গবন্ধু নিজেকে সম্পূর্ণরূপে আত্মনিয়োগ করেছিলেন।’
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের ইতিহাসের নৃশংস হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সপরিবারের হত্যাকাণ্ড কোনো আকস্মিক হত্যাকাণ্ড নয়। এই বিষয়ে আরও তথ্য অনুসন্ধান করার প্রয়োজন রয়েছে। মূলত সদ্য স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশকে পিছিয়ে দেওয়ার জন্যই এই জঘন্য হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল।’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান, প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে ছিলেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম।
শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক, প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টর, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।