আজ এমএসএফের বিবৃতিতে বলা হয়, গুমের ঘটনায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য বিশেষ করে র্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশের পরিচয়ে সাদা পোশাকে ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের তুলে নেওয়া হয়। পরে সংশ্লিষ্ট বাহিনী তাঁদের গ্রেপ্তার বা আটকের বিষয়টি অস্বীকার করে।
এমএসএফের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দেশের নাগরিকের জীবন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের প্রধানতম দায়িত্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে গুম ও নিখোঁজের ঘটনা অবশ্যই সংবিধানের পরিপন্থী। বাংলাদেশ যেসব আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদে স্বাক্ষর করেছে সেগুলোরও পরিপন্থী। গুম ও নিখোঁজের ঘটনাগুলো আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের গ্রহণযোগ্যতা ও ভাবমূর্তি বিপদগ্রস্ত করছে। গুম হওয়া পরিবারগুলো, সন্তানেরা প্রতি মুহূর্তে গুম হওয়া ব্যক্তিদের ফেরত পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। গুম ও নিখোঁজ হওয়া মানুষ ফিরে আসবেন, গুমের একটি ঘটনাও আর ঘটবে না, সেটাই সবার কাম্য। যদি কারও বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ থাকে, তা যতই গুরুতর হোক, আমরা লক্ষ করেছি, অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযুক্ত ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে গেছে। তাঁকে অবশ্যই আইনের কাছে সোপর্দ করতে হবে। কারণ, প্রত্যেক ব্যক্তির আইনের আশ্রয় পাওয়ার অধিকার তাঁর সাংবিধানিক অধিকার।’
এমএসএফের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২১ সালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে গুম ও নিখোঁজের শিকার হন ১১ জন। এর মধ্যে পরবর্তী সময়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়, চারজনকে উদ্ধার হয় এবং এখনো পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন চারজন। এ বছরের আগস্ট মাস পর্যন্ত গুম ও নিখোঁজ হয়েছেন ১১ জন। যার মধ্যে ছয়জনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে, চারজন উদ্ধার হয়েছেন এবং এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন একজন। ২০০৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত গুম ও অপহরণের শিকার হয়েছেন ৬১৪ জন নাগরিক।