সাতক্ষীরা জেলা পরিষদে নিবাচনে আ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশি ৮ জন: অস্থিরাতা বাড়ছে,

ক্রাইমবাতা ডেস্করিপোট:   আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সবার দৃষ্টি এখন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের দিকে। শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২) আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মনোনয়ন বোর্ডের সভায় দেশের ৬১টি জেলা পরিষদ এবং সংসদের একটি শূন্য আসনের প্রার্থী চুড়ান্ত করা হবে। ঐ দিন বিকালেই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আগামী ১৭ অক্টোবর সারাদেশে ৬১ জেলা পরিষদের নির্বাচন। নির্বাচনে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় সমর্থন পেতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিল করেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য একে ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসক মোঃ নজরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ ও শেখ এরতেজা হাসান জজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র এবং শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শেখ এজাজ আহমেদ স্বপন, তালা উপজেলা কমিটির সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম এবং কলারোয়ার শেখ আমজাদ হোসেন।

সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের মোট ভোটার ১ হাজার ৬১ জন। এরমধ্যে ৭৮টি ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান, মেম্বার ও সংরক্ষিত মেম্বরসহ মোট ভোটার ১ হাজার ১৪জন। দুটি পৌরসভায় মেয়র, কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলরদের ভোট রয়েছে ২৬টি এবং ৭টি উপজেলার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের ২১টি ভোট রয়েছে। তবে, কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মারা যাওয়ার ভোটার সংখ্যা ২/৩টি কম হতে পারে।
বিএনপি, জাতীয় পাটিসহ অন্য কোন বিরোধী দল এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে এই নির্বাচন নিয়ে খুব বেশি আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।

 

জেলা আওয়ামীলীগের এক শীষ নেতার অভিযোগ জেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে পতিত গডফাদারের পক্ষে মাঠে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছেন সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির একজন যুগ্ম আহবায়ক, যিনি সদরের একটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। মাঠে যোগাযোগ করছেন বিএনপির একজন কেন্দ্রীয় নেতা, যিনি সাতক্ষীরা একটি আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। শ্যামনগরের একজন জামায়াতপন্থি ইউপি চেয়ারম্যান। বিএনপি-জামায়াতপন্থি চেয়ারম্যান মেম্বারদের ভোট একত্রিত করতে তারা জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। যদিও এই তৎপরতায় যুক্ত শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মহাসীন-উল-মুলক গত ৭ সেপ্টেম্বর মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলায় আকষ্মিক গ্রেপ্তার হয়েছেন। তৎপরতায় যুক্ত আছেন সাতক্ষীরার একজন শীর্ষ চোরাকারবারী ভূমিদস্যু গড়ফাদার। এলাকায় প্রচার রয়েছে, তারা নির্বাচন পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যেই তিন কোটি টাকার প্রাথমিক ফান্ড তৈরী করেছেন।

সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা আ.হ.ম. তারেক উদ্দিন  বলেন, তৃণমূলে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের মধ্যে কোন বিরোধ নেই। তবে, বিএনপি-জামায়াত দলীয়ভাবে জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও তাদের সমর্থক চেয়ারম্যান মেম্বাররা বিগত নির্বাচনে ভোট প্রদান করে। এমনকি বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয়ভাবে অংশগ্রহণ না করলেও বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরা প্রার্থী হয়েছেন এবং ভোটও দিয়েছেন। তারা জেলা পরিষদের এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে পরাজিত করে সাতক্ষীরাতে আবার ২০১৩-১৪ সলের মত পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি ঘটানোর উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসী, গড়ফাদার, ভূমিদস্যু, চোরাকারবারীরা সংঙ্ঘবন্ধ হয়েছে। জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে এই সংঙ্ঘবদ্ধ সাম্প্রদায়িক শক্তি ষড়যন্ত্র করবে এটাই স্বাভাবিক। এ প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের যদি কেউ যুক্ত হয় তারা আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। কোন ষড়যন্ত্রকারীকে দলের নেতাকর্মীরা সফল হতে দেবে না।

Check Also

যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।