তালার শালিখায় প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাত সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ

তালার শালিখায় প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাত সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ

ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা তালার ১২৪ নং শালিখা গুচ্ছগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ফরিদা পারভীনের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাত সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটি ও অভিভাবকদের পক্ষে কমিটির সভাপতি বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তালার খেশরা ইউনিয়নের ১২৪ নং শালিখা গুচ্ছগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ফরিদা পারভীন স্কুল কমিটির সাথে স্কুলের যেকোনো বিষয়ে আলোচনা না করে এবং কোনো নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করতে আসছেন। তিনি নিজের খেয়াল-খুশি মতো বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করেন। পাঠদানের ব্যাপারে প্রধান শিক্ষিকা ফরিদা পারভীন অমনোযোগী হওয়ায় বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ আছে। এমনকি প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি-৪) আওতায় স্কুল লেভেল ইমপ্রুভমেন্ট প্লান (স্লিপ) ফান্ডের টাকা সহ সরকার প্রদত্ত বিভিন্ন খাতের টাকা স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির জাল স্বাক্ষর করে উত্তোলন করেছেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ আছে। এমতাবস্থায় এমন অসংখ্য অভিযোগের তথ্য দিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোঃ ইমরান সরদার। উল্লেখ্য, পূর্বেও এই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগপত্র দিয়েছিলেন স্কুল কমিটির সভাপতি মোঃ ইমরান সরদার। এবিষয়ে স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোঃ ইমরান সরদার বলেন, প্রধান শিক্ষিকা ফরিদা পারভীন শালিখা গুচ্ছগ্রাম স্কুলে যোগদানের পর থেকে স্কুলের বিভিন্ন ফান্ডের লাখ লাখ টাকা কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন, এছাড়াও তিনি স্কুলের যেকোনো বিষয়ে আমাদের কোনো কিছু না জানিয়ে নিজের ইচ্ছায় যা খুশি তাই করে আসছেন, প্রধান শিক্ষিকার অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে তিনি আমাদের বিভিন্ন রকম হুমকি-ধামকি ও মামলায় ফাঁসানোর ভয়ও দেখান। নিরুপায় হয়ে আমি প্রধান শিক্ষিকা ফরিদা পারভীনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পত্র বিভিন্ন দপ্তরে জমা দিয়েছি। এবিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা ফরিদা পারভীন সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, স্বাক্ষর জালের বিষয়টি সত্য নয়, সভাপতি দায়িত্ব গ্রহণের পর আমি উনাকে চেক সই করতে বলেছিলাম উনি না বুঝে চেকের সবগুলো পাতায় সই করে দেন, উনার স্বাক্ষর করা একটি চেক এখনো স্কুলে আছে। প্রধান শিক্ষিকা ফরিদা পারভীন আরো বলেন, সভাপতি মোঃ ইমরান সরদার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তাকে নিয়মিত টাকা দিতে হয়, এমনকি আমার বেতনের টাকা থেকেও তাকে টাকা দেওয়া লাগে। প্রধান শিক্ষিকা আরো বলেন, আমি এতদিন তাকে টাকা দিয়ে এসেছি এখন আর টাকা দিতে পারছি না তাই তিনি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করে বেড়াচ্ছেন। অভিযোগের বিষয়ে তালা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Check Also

স্বামীর মৃত্যুর খবর শুনে স্ত্রীও মারা গেলেন

কানাইলাল দাশ (৬৮) অসুস্থ ছিলেন। চিকিৎসার জন্য তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল। তবে পথেই তাঁর মৃত্যু …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।