ইতিহাস গড়ার ম্যাচে স্বাগতিক নেপালের বিরুদ্ধে খেলা শুরুর ১৪ মিনিটেই এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। সাফ চ্যাম্পিয়ন্সশিপের ফাইনাল ম্যাচের এ গোলটি করেন শামসুন্নাহার জুনিয়র।
কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিক নেপালেরই যে সমর্থক বেশি থাকবে তা বলাই বাহুল্য! তাই বাংলাদেশ নারী দলের কাজটা বেশ স্নায়ুচাপেরই হতে যাচ্ছে, এমনটাই মনে করা হচ্ছিল। প্রতিপক্ষের দর্শক ভরা মাঠ থেকে যে ফুটবলের রথী-মহারথীদেরও স্নায়ুতে চাপ পড়ে!
তবে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সে সেই স্নায়ুচাপের ছাপ পড়ল থোড়াই। শুরু থেকেই যে স্বাগতিক নেপালের ওপর ছড়ি ঘোরাচ্ছিলেন সাবিনা, মারিয়ারা। তারই হাত ধরে ম্যাচের ১৪ মিনিটে গোল পায় বাংলাদেশ। লিড এনে দিয়েছেন বদলি ফুটবলার শামসুন্নাহার (জুনিয়র)। মনিকা চাকমার ডান প্রান্ত থেকে করা ক্রস বক্সের মধ্যে দারুণভাবে নিজের স্কিল দেখান শামসুন্নাহার। কোনাকুনি প্লেসিংয়ে তিনি গোল করেন।
এর আগে ম্যাচের দশ মিনিটে বাংলাদেশ খেলোয়াড় বদল করে। স্বপ্নাকে উঠিয়ে শামসুন্নাহার জুনিয়রকে নামান কোচ ছোটন। ভারী মাঠে ইনজুরি আক্রান্ত স্বপ্না ভালোমতো রানিংই করতে পারছিলেন না। শামসুন্নাহার নামার পাঁচ মিনিটের মধ্যে বাংলাদেশকে আনন্দের উপলক্ষ এনে দিলেন।
বাংলাদেশের একাদশ :
রুপা চাকমা (গোলরক্ষক), সাবিনা খাতুন (অধিনায়ক), শিউলি আজিম, শামসুন্নাহার, আঁখি খাতুন, সাসুরা পারভিন, মণিকা চাকমা, সানজিদা আক্তার, মারিয়া মান্ডা, কৃষ্ণা রাণী সরকার ও স্বপ্না জাহান।