সাতক্ষীরার কলারোয়ায় সাবেক বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় অস্ত্র ও বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের দু’টি মামলায় আরো এক জনের সাক্ষ্য গ্রহন করা হয়েছে। রবিবার সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক বিশ্বনাথ ম-লের আদালতে জেলা আওয়ামীলীগের ত্রান ও পূনর্বাসন সম্পাদক এড. আজহারুল ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়। এনিয়ে এ মামলায় গতকাল পর্যন্ত মোট ১১জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে আদালত। আদালতের কাঠগড়ায় এ সময় বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৩৯ আসামী উপস্থিতি ছিলেন।
সাতক্ষীরা আদালত সূত্রে জানা যায়, অস্ত্র ও বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের দু’টি মামলায় কারাগারে থাকা ৩৯জন আসামীকে সকাল ৯টায় জেলা কারাগার থেকে স্পেশাল টাইব্যুনাল-৩ এর কাঠগড়ায় হাজির করানো হয়। এরপর সকাল ৯টা ২০ মিনিটে এ মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। এ সময় সাক্ষী হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতা এড. আজহারুল ইসলামকে হাজির করানো হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন, সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি এড. আব্দুল লতিফ। এ সময় তাকে সহায়তা করেন, সুপ্রীম কোর্টে বারের সহ-সভাপতি এড. মোহাম্মদ হোসেন, জিপি এড. শম্ভুনাথ সিংহসহ আরও অনেকে।
অপরদিকে, আসামীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টে বারের সাবেক সভাপতি এড. জয়নুল আবেদীন, এড. আমিনুল ইসলাম, এড. সগীর হোসেন লিয়ন, এড. মিজানুর রহমান, এড. মাসুদুল আলম, আনিছুর রহমান রায়হান, সাতক্ষীরার এড. আব্দুল মজিদ (২) ও এড. মিজানুর রহমান পিন্টু প্রমুখ। আগামী ২৭ সেপ্টম্বর এ মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সকাল ১০টায় তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে যশোরে ফিরে যাওয়ার পথে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে কলারোয়ায় বিএনপি’র অফিসের সামনে একটি যাত্রীবাহি বাস রাস্তার উপরে আড় করে দিয়ে তার গাড়ি বহরে হামলা চালানো হয়। হামলায় আওয়ামী লীগের ১ ডজন নেতা-কর্মী আহত হন। এঘটনায় দায়ের করা মামলায় দন্ডবিধির ধারায় (মারপিট ও ভাংচুর) ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তালা-কলারোয়ার বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০জন নেতা-কর্মীকে চার থেকে ১০ বছর মেয়াদে সাজা প্রদান করেন সাতক্ষীরার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবির। এর মধ্যে নয়জন আসামী পলাতক রয়েছেন ও দুই জন মারা গেছেন। গত ১৪ জুন একই ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের অপর দুটি মামলায় চার্জ গঠন করা হয়।