গত ডিসেম্বরে র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের উদ্দেশ্য তাদের জবাবদিহি করা বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
তিনি বলেছেন, র্যাব এবং এর সাত সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য তাদের শাস্তি দেয়া নয় বরং আচরণ পরিবর্তন করে তাদের জবাবদিহি করা।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ এবং জার্মান থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ফ্রেডরিখ এবার্ট স্টিফটাং আয়োজিত ‘মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর’ অনুষ্ঠানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এ মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক দল, শিক্ষাবিদ ও সাবেক কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।
‘র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে উল্লেখ করে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, ‘এটি একটি ভালো লক্ষণ।’
তিনি বলেন, সহিংসতা থাকলে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
পিটার হাস বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের ওপর জোর দেন এবং সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সহিংসতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বাণিজ্য, শ্রম অধিকার, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক রাজনীতি এবং ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলসহ বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
রফতানিমুখী শিল্পে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শ্রম অধিকারের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের এখনো উদ্বেগ রয়েছে।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের (সিজিএস) নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান।
সূত্র : ইউএনবি