আবু সাইদ বিশ্বাস, ক্রাইমবাতা রিপোট, সাতক্ষীরা: পবিত্র সীরাতুন্নবী (সা.) উপলক্ষে মোসলেমা আদর্শ একাডেমি এর উদ্যোগে আলোচনা সভা, কুরআন তেলওয়াত, রচনা ও ইসলামী সঙ্গীত প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১০ অক্টোবর) সাতক্ষীরা মুন্সিপাড়াস্থ মোসলেমা একাডেমিক হলরুমে বর্ণাঢ্য এ আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের মাঝে পুরুস্কার তুলে দেন প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক।
এতে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সাতক্ষীরা সিটি কলেজের সাবেক উপাধ্যাক্ষ মহিদুল ইসলাম মুকুল। প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ সাতক্ষীরা বালক ও বালিকা বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক নূর মোহাম্মদের পরিচালনায় অনুষ্টানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী শিক্ষাবিদ সাতক্ষীরা আগরদাড়ি কামিল মাদ্রাসার মুহাদ্দিস হাফেজ রবিউল বাশার ও গোলাম মোর্তাজা। এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান, আব্দুর রহমানসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন। আলোচনা সভাশেষে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ী প্রতিযোগীদের নাম ঘোষণা ও উপস্থিত বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্টানে প্রধান অতিথি মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক বলেছেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মহানবীকে (সা.) বিশ্বজাহানের জন্য রহমত স্বরূপ পাঠিয়েছেন। আমরা তার উম্মত হিসাবে সৌভাগ্যবান ও গর্বিত। তাই দুনিয়ায় শান্তি ও আখেরাতে মুক্তিলাভ করতে হলে আল্লাহ নির্দেশিত ও রাসূল (সা.) অনুসৃত পথই আমাদেরকে অনুসরণ করতে হবে। তিনি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিশ্বনবীকে (সা.) আদর্শ নেতা হিসাবে অনুসরণ করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান। প্রধান অতিথি আরো বলেন, আল্লাহ তায়ালা জান্নাতের বিনিময়ে আমাদের জান ও মালকে খরিদ করে নিয়েছেন। আর মুমিন জীবনের অভীষ্ট লক্ষ্যই হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির মাধ্যমে সর্বোচ্চ পুরস্কার জান্নাত লাভ করা। তাই সর্বোচ্চ ত্যাগ ও কোরবানির নজরানার মাধ্যমে আমাদেরকে দ্বীন প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে কাজ করতে হবে। তিনি দ্বীনকে বিজয়ী করার জন্য নিজেদের সকল সামর্থ্যকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে হাফেজ রবিউল বাশার বলেন, ‘সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে আমাদের দেশের মানুষ কিছুটা নিরাশ ও মানসিকভাবে বিধ্বস্থ হলেও আমরা যদি কুরআনের প্রতি অবিচল থাকতে পারি তাহলে বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত।’ তিনি বলেন, আমাদের দেশের পেক্ষাপটে ইসলামী আন্দোলনের ওপর জুলুম-নির্যাতন ইতিহাসের সে ধারাবাহিকতারই অংশ। তাই সকল বাধা-প্রতিবন্ধকতা ও জুলুম-নির্যাতন উপেক্ষা করে দ্বীনকে বিজয়ী করার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। তিনি দ্বীনকে বিজয়ী করার প্রত্যয়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালানোর আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বক্তরা বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: ছিলেন সর্বযুগের, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠও সফল রাষ্ট্রনায়ক। ইতিহাসে এমন কীর্তিমান রাষ্ট্রপ্রধান আর দ্বিতীয়টি দেখা যায় না। তিনি সুশাসন নিশ্চিত করতে ১৯ মন্ত্রণালয় ও বিভাগ স্থাপন করেছিলেন। তিনি প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন ও নাগরিক পরিসেবা বিভাগকে ঢেলে সাজিয়েছিলেন। ফলে সদ্য প্রতিষ্ঠিত মদীনা রাষ্ট্র হয়ে উঠেছিল ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র।