সৈয়দ আলী মণ্ডলের ভাতিজা লোকমান মণ্ডল জানান, গত মঙ্গলবার সকালের দিকে তাঁর চাচা বাড়ি থেকে চিকিৎসা ও ওষুধ নিতে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। এরপর তিনি আর বাড়ি ফিরে আসেননি। রাতে বাড়ি না ফেরায় সম্ভাব্য সব জায়গায় খুঁজে তাঁর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরদিন বুধবার সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। পাশাপাশি তাঁর খোঁজ পেতে ভোমরা থেকে সাতক্ষীরা শহর পর্যন্ত মাইকিং করা হয়।
পুলিশ এসে ডোমের মাধ্যমে বেলা পৌনে দুইটার দিকে পচাগলা লাশটি উদ্ধার করে।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক কুদরত-ই-খোদা বলেন, আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে হাসপাতাল বন্ধ রয়েছে। এ কারণে তিনি হাসপাতালে যাননি। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হাসপাতালের লিফটম্যান আরিফুর রহমান তাঁকে মুঠোফোনে জানান, হাসপাতালের নিচতলা ও দোতলায় প্রচণ্ড দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনেই নিচতলার চারটি লিফটের মধ্যে তিনটি লিফট দুই সপ্তাহ ধরে নষ্ট। শুধু ৪ নম্বর লিফটটি চালু রয়েছে। নষ্ট ১ নম্বর লিফটটি পাঁচতলায় ছিল। নিচতলায় এর দরজাটি খুলে লিফটম্যান দেখেন, নিচে একটি লাশ পড়ে রয়েছে। সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে ডোমের মাধ্যমে বেলা পৌনে দুইটার দিকে পচাগলা লাশটি উদ্ধার করে।
সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আসাদুজ্জামান বলেন, উদ্ধার করা লাশটি বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আলী মণ্ডলের বলে তাঁর আত্মীয়স্বজনেরা শনাক্ত করেছেন। কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তা এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি দুর্ঘটনা। নষ্ট ফাঁকা লিফটে উঠতে গিয়ে তিনি ওপর থেকে নিচে পড়ে মারা যেতে পারেন। তবে তদন্ত ছাড়া নিশ্চিত ও বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না।