ইয়াছীন আলী সরদার, পাটকেলঘাটাঃপাটকেলঘাটা বাসীর চিত্ত-বিনোদনের একমাত্র নীলিমা কপোতাক্ষ ইকো পাকের নদের পাশের অবৈধ দখল দারিত্ব বন্ধের জন্য গত ১৯ জুলাই নীলিমা ইকো পার্কের মতবিনিময় সভায় সরকারী ভাবে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া ও সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ইফতেখার হোসেন পার্কের কপোতাক্ষ পাড়ের অবৈধ দখলদারদের দ্রুততার সাথে তাদের অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে বললেও সে ধরনের কাজের কোন অগ্রগতি নেই।
জেলা প্রশাসক উক্ত মতবিনিময় সভায় হাজরো জনগনের মাঝে বলেন অবৈধ দখল দারিত্ব বন্ধ না হলে প্রয়োজনে বুলডোজার দিয়ে এসকল স্থাপনা নষ্ট করা হবে। প্রায় ২ সপ্তাহ হতে চললো সরকারী এধরনের কথায় কোন প্রকার কর্ণপাত করেনি অবৈধভাবে যারা দখল করে আছে। ২০১৭ সালের ১লা অক্টোবর ততকালীর সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহীউদ্দীন জাক-জমকপূর্ণ ভাবে উদ্বোধন করেন এই পার্কটি।
তালা উপজেলা বাসী আশায় বুক বেঁধেছিলো স্বাধীনতার পরে এই প্রথম একটি চিত্ত বিনোদনের মোক্ষম জায়গা এলাকাবাসী পাবে। কিন্তু নদের পাশেই রাস্তার দু’ধারে অবৈধ দখলদারিত্ব চরম আকার ধারন করেছে। ন্ত
পার্কের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে প্রধান প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়ে অবৈধ দখলকৃত জায়গা। ইতিমধ্যে ইকোপার্ক পাটকেলঘাটা কেশবলাল মহাশ্মাশান পর্যন্তবিনোদন ে প্রমীদের সময় কাটানোর জন্য নদের পাশ দিয়ে সৌন্দর্য মন্ডিত বেঞ্চ তৈরীর কাজ চলছে। কিন্তু খাদ্য গোডাউনের সামনের বিনোদনে আসা পার্কের প্রবেশের রাস্তার পাশ দিয়ে অবৈধ ভাবে ইট, বালু, খোয়া সুড়কি, বিভিন্ন প্রকার স্যানেটারী সামগ্রী রেখে জায়গা দখল করে রেখেছে এক শ্রেনীর অবৈধ ব্যবসায়ীরা।
এলাকাবাসীর দাবী দ্রুততার সাথে পার্কে আসা মানুষগুলো চলাচল নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উক্ত রাস্তাটি বিনোদন ে প্রমীদের জন্য উন্মুক্ত করে দিবেন।
অধিকাংশ বিনোদন প্রেমীদের অভিযোগ পাটকেলঘাটা বাসীর চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা হলেও এখনো সেভাবে পরিবেশ তৈরী হয়নি। ইতিমধ্যে নদের ধারের মনোরম পরিবেশ সকলের নজর কাড়তে সমর্থন হয়েছে।
তবে নীলিমা ইকো পার্ক থেকে পাটকেলঘাটা সিদ্দিকীয়া মাদ্রাসার দিকে যেতে চাইনা সাধারন জনগন, কারন দূর্গন্ধ, যত্রতত্র মল মুত্র ত্যাগ, সাথে সাথে রাস্তার ধারে বিভিন্ন ধরনের দখলদারিত্ব চোখে পড়ার মত। ভূমি দস্যুরা দখল করতে করতে পার্কের রাস্তা পর্যন্তদখল করতে শু রু করেছে। ইতি মধ্যে জেলা প্রশাসক ঘোষনা দিয়েছে নদের উপর দিয়ে একটি ঝুলন্তব্রীজ করা হবে পার্কের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য।
এ বিষয়ে যার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ইকোপার্কটি তৈরী হচ্ছে তিনি স রুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান। তিনি বলেন শ্মশান ঘাট পর্যন্তবিনোদনে আসা মানুষের বসার ব্যবস্থা করার কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।
তাছাড়া রকমারী গাছের চারা রোপন করে নৈসর্গিক সৌন্দর্য বৃদ্ধির কাজ চলমান। কপোতাক্ষের পাশের জায়গা গুলো উন্মক্ত রাখার জন্য সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে।