নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন জমা দিয়েছে এবি পার্টি। সোমবার দুপুরে এবি পার্টির আহ্বায়ক সাবেক সচিব এএফএম সোলায়মান চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (উপ-সচিব) আব্দুল হালিম খানের কাছে এ আবেদন তুলে দেয়।
নির্বাচন কমিশনের প্রদত্ত শর্তানুযায়ী দলের গঠনতন্ত্র, প্রস্তাবিত পতাকা ও প্রতীক, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানা ও মালিকানা বা ভাড়ার দলিল বা চুক্তিপত্র, কেন্দ্রীয় কমিটি ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির তালিকা, ন্যূনতম এক তৃতীয়াংশ (২২ টি) জেলা কমিটি, ১০০টি উপজেলা কমিটি, ১০০টি উপজেলার নূন্যতম ২০০ করে অর্থাৎ সর্বমোট অনুন্য ২২ হাজার নিবন্ধিত ভোটার সদস্যের তালিকা, তাদের ভোটার নম্বর ও দলে যোগদানের প্রমাণ পত্র, জেলা ও উপজেলা মিলিয়ে ১২২টি দলীয় অফিসের ঠিকানা ও মালিকানা বা ভাড়ার দলিল বা চুক্তিপত্র, দলের ব্যাংক হিসাব ও সর্বশেষ লেনদেনের স্থিতি সহ সব প্রামান্য দলিল সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বুঝিয়ে দেয় এবি পার্টির নেতারা। নির্বাচন কমিশন সব প্রামান্য দলিল প্রাপ্তি স্বীকার পূর্বক বুঝে নেন।
প্রতিনিধি দলে এবি পার্টির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী ছাড়াও দলটির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম আহবায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভুইঁয়া, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, আনোয়ার সাদাত টুটুল, এবিএম খালিদ হাসান, আমিনুল ইসলাম এফসিএ, আব্দুল বাসেত মারজান, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন, সহকারী সদস্য সচিব এম আমজাদ খান, শাহ আব্দুর রহমান, মিয়া মোহাম্মদ তৌফিক, সহকারী প্রচার সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন শরীফ, শিলা আক্তার, রাশিদা আক্তার মিতু প্রমুখ।
আবেদন জমার পর এবি পার্টি নেতারা সাংবাদিকদের জানান, এবি পার্টি একটি অর্গানিক রাজনৈতিক দল। সাম্য মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের ভিত্তিতে একটি কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এবি পার্টি কাজ করছে। এবি পার্টির বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালিয়ে এর কার্যক্রমকে ব্যাহত করার চেষ্টা করা হয়েছে এবং হচ্ছে। আমরা দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই কোন দল বা গোষ্ঠীর পক্ষ বা প্রতিপক্ষ হওয়ার জন্য এবি পার্টির জন্ম হয়নি।