আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ‘মাতালর মতো কথা বলেন। কথা শুনে মনে হয় তারা নেশাগ্রস্ত। তাই বলি সভ্য হন, মাতলালি ছেড়ে সভ্য আচরণ করুন’ দলটির নেতাদের উদ্দেশে কথাগুলো বলেছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ।
শনিবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে আগামী ২৯ অক্টোবর রংপুর বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে ঠাকুরগাঁও শহরের মির্জা রুহুল আমিন মিলনায়তনে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় তিনি কথাগুলো বলেন।
হারুনুর রশীদ বলেন, বিএনপি কোনো ষড়যন্ত্র করে না। ষড়যন্ত্র বাইরে থেকে হয় না। ঘরেই ষড়যন্ত্র হয়। দেশে আজকের এই দুঃসহ সঙ্কটের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেই পদত্যাগ করতে হবে। তিনি পদত্যাগ না করলে সঙ্কট সমাধান হবে না। দেশের মানুষ মুক্তি পাবে না।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যদি সমাবেশে ১০ লাখ লোক আনে, আমরা আনবো ২৫ লাখ। বিএনপির নেতা-কর্মীরা নিজ খরচে সমাবেশে আসেন আপনাদের মতো লোক ভাড়া করে বা ৪০০-৫০০ টাকা দিয়ে হাইয়ার করে নিয়ে আসে না। এটাই পার্থক্য আওয়ামী লীগ আর বিএনপির মধ্যে। তিনি বলেন, তিন দিন আগেই রংপুরের গণসমাবেশে আমরা উপস্থিত হবো।
‘আন্তর্জাতিক সেংশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বেনজির আহমেদ সাবেক আইজিপির দিকে তাকিয়ে দেখেন। তাকে আজ অবসরে যাবার পরও নিরাপত্তা নিয়ে থাকতে হয়। বাংলাদেশে কোনো কর্মকর্তা অবসরে যাওয়ার পর নিরাপত্তা নেয়নি। বেনজির জানে তিনি কী করেছেন। তাই তার এত ভয়।’ বলেন হারুনুর রশীদ।
তিনি আরো বলেন, এই সরকার নিঃসন্দেহে একটি বেঈমান-বিশ্বাসঘাতক সরকার। নির্বাচনের কারচুপি করতে করতে সীমালঙ্গন করে ফেলেছে। সর্বশেষ গাইবান্ধা উপনির্বাচনেই প্রমাণ করে বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এই প্রথম ভোট কেন্দ্রগুলোতে সিসিক্যামেরা বসানো হয়েছে। ঢাকা থেকে বসেই সিইসি দেখেন আওয়ামী লীগের ভোট চোর, ডাকাতরা কিভাবে চুরি করছে। তাই তিনি অসহায় হয়ে নির্বাচন বাতিল করেছেন। সিইসি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। তদন্ত কমিটি গঠন করে কী লাভ। সেখানকার দায়িত্বরত ডিসি এসপিকে চাকরিচ্যুত করা দরকার। এই ভোট চুরির সাথে তারাও জড়িত। যেখানে সিসিক্যামেরা রয়েছে সেখানে তদন্ত কমিটির কী দরকার। সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেই তো অপরাধীরা ধরা পড়বে।
ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফসহ দলের অন্য নেতাকর্মীরা।