ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরায় প্রচন্ড বেগে ঝড় বৃষ্টি বইতে শুরু করেছে। ঘর বাড়ি ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে অসংখ্য মানুষ। আবহাওয়া অফিস বলছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং সবচেয়ে বেশি আঘাত হানতে পারে সাতক্ষীরায়। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৮ ফুট বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে চরম ক্ষতি গ্রস্থ হতে পারে বেড়ি বাঁধ। সাতক্ষীরায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার থেকে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বয়ে যেতে পারে । সব চেয়ে বেশি ক্ষয় ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে শ্যামনগরের দ্বীপ অঞ্চল গাবুর ইউনিয়ন ও আশাশুনির দ্বীপ প্রতাব নগর ইউনিয়ন। স্থানীয়রা বলছে ইত্যোপূবে যতগুলো ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে তাতে দ্বীপ ২টিতে অসংখ্য প্রাণ হানী ঘটেছে। ২০২০ সালের ২০ মে সাতক্ষীরার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ক্ষত এখনো কাটিয়ে উঠতে পারিনি এখানকার মানুষ। ক্ষতি গ্রস্থ বেড়ি বাঁধ সমূহ এখনো ঠিক মত মেরামত করা সম্ভব হয়নি । জোড়া তালির বেড়ি বাঁধ ভেঙ্গে যে কোন মুহূর্তে বিস্তৃর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সতর্ক সংকেত অনুযায়ী নিরাপদে আশ্রয় নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করার কথা জানিয়েছে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন। দুর্যোগের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ও মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় জেলায় ২৫০ টিরও বেশি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে। এছাড়া ১ হাজার ২০০ স্কুল-কলেজ বিকল্প আশ্রয়কেন্দ্র্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঝড়ের ক্ষয় থেকে মানুষের জান মাল রক্ষায় ছয় হাজার স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে। দুর্যোগকালীন জরুরি সাড়াদানের জন্য জেলায় খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণকক্ষ।
সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির জানিয়েছে, ক্ষয় ক্ষতির আগেই মানুষকে নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে ্র আনা হচ্ছে। সেইসঙ্গে প্রত্যেক ইউনিয়নে মেডিকেল টিম, পর্যাপ্ত শুকনা খাবার ও খাওয়ার পানি মজুত রাখা হয়েছে। দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর জন্য ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স ও স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে । এছাড়া উপকূলের ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
https://youtu.be/9Y_eWusqJOA