ইউনিফর্মের আড়ালে পুলিশ সদস্যরা অপরাধে জড়িয়ে পড়লে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে সতর্ক করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
ডিএমপি কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর রোববার (৬ নভেম্বর) মিরপুর পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে এক বিশেষ কল্যাণ সভায় এ কথা বলেন তিনি।
দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কোনো বিপদ-আপদ আসলে বা ব্যক্তিগত-পারিবারিক সমস্যায় সব সময় তিনি পাশে থাকবেন বলে সবাইকে আশ্বস্ত করেন নতুন কমিশনার।
তিনি বলেন, কনস্টেবল থেকে আইজিপি সবাই পুলিশ, সবাই একটি পরিবার। শরীরের কোনো অঙ্গে আঘাত পেলে যেমন পুরো শরীর কষ্ট পায় তেমনি কনস্টেবলের গায়ে আঘাত লাগলে সেটা কমিশনারের গায়ে লাগে। পুলিশের ইজ্জত রক্ষা করতে হবে, ইউনিফর্মের সম্মান রক্ষা করতে হবে।
ফোর্সের মানসিক শক্তি ও ইচ্ছা থাকলে যে কোনো অজেয়কে জয় করা সম্ভব জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এজন্য ফোর্সের সঙ্গে কখনো সন্তান, কখনো ভাই, কখনো বন্ধুর মতো মিশতে হবে। তাদের ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। আবার দায়িত্ব পালনের সময় কমান্ডারের অবস্থানটা ধরে রাখতে হবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমাদের এমনভাবে দায়িত্বপালন করা উচিত যেন অবসরে যাওয়ার পরেও মানুষ মনে রাখে।
খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কখনো ব্যর্থ হয় না। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম প্রতিরোধকারীর গৌরবময় অংশীদার পুলিশ। সেই ৭১ থেকে আজ পর্যন্ত যে কোনো ক্রান্তিলগ্নে পুলিশ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন হতে দেয়নি। ১৩/১৪ এর অগ্নিসংযোগ, বোমা হামলা, জঙ্গি বা কোভিডের মতো প্রাকৃতিক মহামারি কোনো কিছুই পুলিশের মনোবলে চিড় ধরাতে পারেনি।
উপ-পুলিশ কমিশনার (পিওএম-দক্ষিণ) মোহাম্মদ মতিয়ার রহমানের সঞ্চালনায় বিশেষ কল্যাণ সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম।
সভায় ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার সদস্যরা তাদের সুনির্দিষ্ট কিছু সমস্যা ও চাহিদার কথা কমিশনারের কাছে পেশ করেন। কমিশনার সবার বক্তব্য শোনেন এবং সমাধানের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন।
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদসহ যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনারসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।