বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণসমাবেশের পর সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হবে। সরকারকে আর কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুম, হামলা, মামলা আর নির্যাতনে জনগণ অসহায়। তাই রাজশাহীর গণসমাবেশ থেকে সরকারকে শক্ত জবাব দেওয়া হবে। দেখানো হবে হলুদকার্ড। আর ঢাকার গণসমাবেশে সরকার দেখবে লালকার্ড।
বৃহস্পতিবার রাজশাহী মহানগরীর একটি হোটেলে যুগান্তরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে বিএনপির গণসমাবেশ সম্পর্কে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার বলেন, সমাবেশ সফল করার জন্য আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। ইতোমধ্যে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে সমাবেশ করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুমতি নেওয়া হয়েছে। রাজশাহী বিভাগের আট জেলার নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। সেদিন কমপক্ষে ১০ লাখ মানুষের সমাগম হবে।
সারা দেশের অন্য বিভাগগুলোর মতো রাজশাহীতেও গণসমাবেশ বানচাল করার ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে দুলু বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সব শক্তি দিয়ে সমাবেশ রোখার চেষ্টা করছে। সরকারের সহযোগী পরিবহণ নেতারা পরিবহণ ধর্মঘটের পাঁয়তারা করছেন। এমনকি রেল ধর্মঘটেরও ষড়যন্ত্র চলছে। ইতোপূর্বেও এমনটি ঘটেছে। তবে এ ধরনের ষড়যন্ত্র করে গণসমাবেশে বাধা দেওয়া যাবে না। বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রয়োজনে সাইকেল, মোটরসাইকেল, রিকশা, ভ্যান, গরুর ও মহিষের গাড়িতে— এমনকি পায়ে হেঁটে গণসমাবেশে অংশ নেবেন। প্রয়োজনে সাত দিন আগে থেকে নেতাকর্মীরা রাজশাহীতে আসতে শুরু করবেন। তাদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
সরকারের মদতে পরিবহন ধর্মঘট হলে বিএনপির গণসমাবেশের আরও বেশি প্রচার হয়ে বলে মনে করেন দুলু। তিনি বলেন, পরিবহণ ধর্মঘট ডাকলে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের গণসমাবেশ নিয়ে আগ্রহ বাড়ে। নেতাকর্মীরা চাঙ্গা হয়ে ওঠেন। দেশের কয়েকটি বিভাগে এর আগে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশই এর প্রমাণ।