বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির তমব্রু সীমান্তে পরিচালিত র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরে (ডিজিএফআই) যৌথ অভিযানে এক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। তিনি ডিজিএফআই কর্মকর্তা (বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা)।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) রাতে মাদক চোরাচালানকারী-সন্ত্রাসীদের আটকে পরিচালিত অভিযানে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় র্যাবের এক সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সোমবার দিবাগত রাতে প্রকাশিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে অবশ্য হতাহতদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
জানা গেছে, সীমান্তে বড় ধরণের মাদকের পাচার হচ্ছে এমন খবরে সোমবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তমব্রু সীমান্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কক্সবাজারের র্যাব-১৫ ও ডিজিএফআই। এ সময় মাদক চোরাচালানকারী সন্ত্রাসীরা গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই ডিজিএফআই’র ওই কর্মকর্তা নিহত হন। একই সময় আহত হন এক র্যাব সদস্য। তাদের ঘটনাস্থল থেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অভিযানে দুই পক্ষে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে ঘুমধুম ইউপির চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, সোমবার রাতে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে শুনেছি। কাদের মধ্যে বা কী নিয়ে ঘটনাটি ঘটে নিশ্চিত নই।
ঘটনার বিষয়ে জানতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও জেলা পুলিশ সুপারের নম্বরে কয়েকবার ফোন করা হয়। কিন্তু তারা রিসিভ করেননি।
আইএসপিআর’র বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, র্যাব ও ডিজিএফআই’র মাদকবিরোধী যৌথ অভিযান পরিচালনাকালে মাদক চোরাচালানকারী সন্ত্রাসীদের সাথে বাংলাদেশের ভেতরে তমব্রু সীমান্ত এলাকায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ চলাকালে মাদক চোরাচালানকারীদের গুলিতে দায়িত্বরত অবস্থায় ডিজিএফআই’র একজন কর্মকর্তা (বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা) দেশের জন্য আত্মত্যাগ করে শহীদ হন এবং র্যাবের একজন সদস্য আহত হন।