ক্রাইমবাতা রিপোট, সাতক্ষীরা: ঢাকায় পুলিশের মুখে স্প্রে করে পালিয়ে যাওয়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ধরতে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরসহ সীমান্ত এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। সোমবার (২১ থেকে ২৩ নভেম্বর) ভারতগামী পাসপোর্টধারী যাত্রীদের অধিকতর সতর্কতার সঙ্গে পারাপার করা হয়েছে।একই সঙ্গে সাতক্ষীরার ২৩৮ কিলোমিটার জল ও স্থল সীমান্ত পথে নজরদারি বাড়িয়েছে বিজিবি।
বিজিবির সাতক্ষীরা ৩৩ ব্যাটালিয়নের অপারেশন অফিসার মেজর রেজা আহমেদ জানান, দুই জঙ্গির ছবি সীমান্তের সব বিওপিতে পাঠিয়ে সীমান্ত অঞ্চলে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে টহল।
ভোমরা ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজরিহা হোসাইন বলেন, জঙ্গিরা কোনো পাসপোর্টধারীর ছদ্মবেশে যাতে সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে সেজন্য সবোর্চ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।
আদালত প্রাঙ্গণ থেকে দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফি নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।
পুলিশ জানিয়েছে, মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফি আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার এজাহারনামীয় আসামি।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) সিটিটিসি প্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন। দুপুর পৌনে ১২টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফ হবে বলে জানিয়েছে সিটিটিসি।
গত রোববার (২০ নভেম্বর) দুপুরে দুই জঙ্গিকে একটি মামলায় আদালতে হাজির করা হয়। হাজিরা শেষে পুলিশ সদস্যরা তাদের নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় পুলিশের চোখে স্প্রে মেরে দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জঙ্গি সদস্য মইনুল হাসান শামীম ও আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিবকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত সামির ও মো. আবু ছিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিবকে ধরিয়ে দিতে পারলে ২০ লাখ টাকা পুস্কারের ঘোষণা দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
পলাতক শামীমের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতকের মাধবপুর গ্রামে আর সোহেলের বাড়ি লালমনিরহাটের আদিতমারীর ভেটোশ্বর গ্রামে।