বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি বাংলাদেশ যে সমাবেশগুলো করেছে এগুলো তাদের সাংবিধানিক অধিকার। সুতরাং ঢাকা শহরে ১০ তারিখে সমাবেশ হবেই হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ হচ্ছে আমার সাংবিধানিক অধিকারকে সুরক্ষা দেয়া এবং তারা বিএনপি ও দেশের জনগণকে সুরক্ষা দেবে।
তিনি সরকার ও পুলিশ বাহিনীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর সমাবেশে সরকার যেন তার পুলিশ বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে অন্যায়ভাবে কোনো বাধা না দেয়।
শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জিয়া পরিষদের উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘দেশনায়ক তারেক রহমানের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘তারেক রহমান আগামী দিনের ভাবনার মূল ভিত্তি হলো তার বাবা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ এবং তার মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আদর্শ ধারণ করে বাংলাদেশকে নতুন করে গঠন করা। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, করোনা পরিস্থিতি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্ব পরিস্থিতি যেমন উলটপালট হয়ে গেছে, তেমনি করে রাজনীতিতেও পরিবর্তন ঘটিয়ে সকল পরিস্থিতি রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করে দেশকে নতুন করে গঠন করার ভাবনা তারেক রহমানের মাথায় রয়েছে। তিনি ইতোমধ্যে জাতীয় সরকারের ঘোষণা দিয়েছেন, রাষ্ট্রের জন্য এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ইতিমধ্যে দেশের গণতন্ত্রকে আমি মানুষ একটি ধারার দিকে অতিবাহিত হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশকে যে গর্তের মধ্যে ফেলে দিয়েছে, সেটাকে শুধু চেঞ্জ না, তারেক রহমান সেটাকে রূপান্তর করতে চান। এ সরকার শুধু বিএনপিকে দোষারোপ করে যে বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে বিদেশীদের কাছে তদবির করে, তাহলে বিদেশীরা তাদের কূটনৈতিক অফিস বানিয়ে কূটনীতিকদের বসিয়ে রেখেছে তাদের কোনো দায়িত্ব নাই? এদেশে কি হয়, সরকার কি করে- এগুলো কূটনীতিকরা যার যার দেশে সরকারকে জানানোটাই তাদের দায়িত্ব। এই জিনিসটা সরকারের মাথায় আছে বলে আমি মনে করি না।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের কোনো নেতার বক্তব্যের জবাব দিতে চাই না। কারণ জবাব দিতে হলে যে জায়গায় নেমে জবাব দিতে হবে সেই জায়গায় আমি নামতে পারব না। আমি শুধু একটি কথা বলতে চাই, বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল। এই দলের জনগণের পক্ষে কাজ করা জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য রাজপথে আন্দোলন করা এটি একটি রাজনৈতিক দলের জন্য সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। তাই সরকারকে এবং সরকারের পুলিশ বাহিনীকে হুঁশিয়ার দিয়ে বলতে চাই- আগামী ১০ ডিসেম্বরের আন্দোলনে সরকার যেন তার এই পুলিশ বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে অন্যায়ভাবে কোনো বাধা না দেয়।’
জিয়া পরিষদের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা: মো: আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে ও অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদের পরিচালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, জিয়া পরিষদের অধ্যাপক ড. মো: লুৎফর রহমান, ড. মো: এমতাজ হোসেন, আব্দুল্লাহিল মাসুদ, সাইফুর রহমান মিহির, অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান, প্রকৌশলী রুহুল আলম, মো: রবিউল ইসলাম, সহিদুল হক সহিদ, প্রকৌশলী শরিফুজ্জামান খান, নুরুন্নবী খান প্রমুখ বক্তব্য দেন।