নিখোঁজের দুই বছর পেরিযে গেলেও আজও সন্ধান মেলেনি ১১ বছরের শিশু মেহেদী হাসানের। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাহমুদপুর দক্ষিণপাড়ার বাবুল হোসেন ও মমতাজ খাতুন দম্পত্তির ছেলে সে।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় একই গ্রামের মো: তুহিন হোসেন তার ছেলে মো: রানার (১৪) মাধ্যমে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে মেহেদি হাসান আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। এঘনায় মেহেদির মা মমতাজ খাতুন বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় ২০০৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ১৪ নং মামলা করেন। মামলার আসামীরা হলো- একই গ্রামের আবু তালেবের ছেলে তুহিন (৩৮), মৃত শওকত হোসেনের ছেলে আবু তালেব (৫৮), আবু তালেবের স্ত্রী আলেয়া খাতুন (৫০)। মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় একই গ্রামের মো: তুহিন হোসেন তার ছেলে মো: রানার (১৪) মাধ্যমে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে মেহেদি হাসান আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। ছেলেকে খোঁজাখুজি করাকালে সাক্ষীদের নিকট ও স্থানীয় লোকজনদের নিকট জানতে পারি যে, আমার বাড়ির পূর্ব পাশে আনিছুর মোল্লার বাগানের পাশে অপরিচিত ২জন লোক মোটরসাইকেল নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকে এবং উক্ত রানা আমার ছেলেকে নিয়ে আনিছুর রহমানের বাগানের পাশ দিয়ে নিয়ে চলে যায়।
কিছুক্ষণ পর ওই মোটরসাইকেলে থাকা ব্যক্তিরা সেখান থেকে চলে যায়। আমার ছেলেকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করে তার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। আমার ধারনা আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে আমার ছেলেকে গুম করার ষড়যন্ত্র করে রানার মাধ্যমে আমার ছেলে মেহেদী হাসানের খেলাধুলার ছলনায় বাড়ি হতে ডেকে নিয়ে ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুম করেছে। নতুবা তাকে অন্য কোন স্থানে আটক রেখেছে। মামলায় পুলিশ তদন্ত চালায়। আসামীদের গ্রেপ্তান করে রিমান্ডে নেয়। এছাড়া একই এলাকার জনৈক আলমের স্ত্রী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। পুলিশের তথ্যমতে, মামলার প্রদান আসামী তুহিনের বিরুদ্ধে অন্তত ৭টি মামলা রয়েছে।
অধিকাংশ মামলা মাদক সংক্রান্ত। এদিকে আসামীরা উচ্চ আদালত থেকে অন্তবর্তীকালীন জামিন পেয়ে মামলার বাদিকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অপরদিকে নিখোঁজের দুই বছর তিন মাস পেরিয়ে গেলেও পুলিশ মেহেদি হাসানের কোন সন্ধান পায়নি। সন্তান ফিরে পাবার আশায় বাবুল হোসেন ও মমতাজ খাতুন দম্পত্তি দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। শুক্রবার রাতে বাবুল হোসেন দৈনিক পত্রদূত অফিসে এসে প্রশাসনের কাছে সন্তান ফিরে পাবার আকুতি জানিয়েছেন।