সাতক্ষীরার আশাশুনিতে চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশের অভিযোগে ৩ মাছ ব্যবসায়ীকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রোববার বিকেলে আশাশুনির মহিষকুড় বাজারে অভিযান চালায় র্যাব সদস্যরা। মোবাইল কোর্টে জরিমানা করার পর ৫ মণ চিংড়ি ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানান র্যাব কর্মকর্তারা।
জরিমানা পরিশোধ করা তিন অসাধু ব্যবসায়ি হলেন, আল-মামুন, রাকেশ মন্ডল ও শাহজাহান আলী।
র্যাব,সাতক্ষীরা ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর গালিব জানান, হোয়াইট গোল্ড হিসেবে খ্যাত চিংড়ি একটি রপ্তানী পণ্য। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতি মুনাফার লোভে বিভিন্ন ক্ষতিকর পদার্থ পুশ করে চিংড়ির ওজন বৃদ্ধি করছে। এসব অতি মুনাফালোভি ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযান চালায় র্যাব। এর ধারাবাহিকতায় রোববার বিকেলে আশাশুনির মাছের আড়ৎ খ্যাত মহিষকৃড় বাজার এলাকায় অভিযান চালান তারা। চিংড়ি মাছের ভিতর বিষাক্ত কেমিক্যাল ও অপদ্রব্য জেলি পুশ করা অবস্থায় অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোট পরিচালনা করে তিন মৎস্য ব্যবসায়ীকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
পাশাপাশি ২০০ কেজি চিংড়ি মাছ, ৮০ কেজি বিষাক্ত জেলি ও ৬০ টি সিরিঞ্জ ধ্বংস করা হয়। মৎস পণ্য বিধিমালা ১৯৯৭ এর বিধি ৪(৪) ধারায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন আশাশুনি উপজেলার ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান। পরে জরিমানাকৃত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা করা হয় বলে জানান মেজর গালিব।