সাতক্ষীরা সংবাদদাতাঃ বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোরআন হাতে লিখে খ্যাতি অর্জন করা সাতক্ষীরার সেই হাবিবুর রহমানকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে র্যাব। সোমবার বিকাল ৫টার দিকে সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে ভূয়া এনজিও খুলে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে বলে র্যাবের দাবী। বিশে^র সবচেয়ে বড় হাতে লেখা কোরআন শরীফ সে লিখেছে দাবী করে সম্প্রতি সাতক্ষীরায় সাড়া ফেলে এই হাবিবুর।
র্যাব-৬ সাতক্ষীরা কোম্পানী কমান্ডার প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সাতক্ষীরা জেলার সদর থানা এলাকায় আসামী প্রতারক চক্রের মূলহোতা মোঃ হাবিবুর রহমান তার কতিপয় সহযোগী নিয়ে ২০১৯ সালে “বনলতা সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেড” নামে একটি ভুয়া এনজিও খোলে। অধিক লাভের প্রলোভন দেখিয়ে স্থানীয় সাধারণ মানুষের নিকট হতে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাত করে। বেশকিছুদিন এনজিও পরিচালনা করার পর আসামী তার অফিস বন্ধ করে লাপাত্তা হয়ে যায়। বিষয়টি বিভিন্ন মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়। পরর্বতীতে বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী র্যাব-৬ বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। র্যাব-৬ সাতক্ষীরা ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল প্রতারক চক্রটিকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে এবং অভিযান অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহকিতায় ২ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখ র্যাব-৬, (সাতক্ষীরা ক্যাম্প) এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে উক্ত ভুয়া এনজিওর স্বত্ত্বাধীকারী সাতক্ষীরা জেলার সদর থানা এলাকায় আত্মগোপন করে আছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণর লক্ষ্যে আভিযানিক দলটি সাতক্ষীরা জেলার সদর থানাধীন পলাশপোল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মোঃ হাবিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে।
এদিকে পলাশপোলের একাধিক সূত্র জানায়, উক্ত হাবিবুরের বাড়ি আশাশুনি উপজেলার বাকড়া গ্রামে। তার বাবার নাম আজিজুল ইসলাম। ভয়া এনজিও ছাড়াও চাকুরী দেওয়ার নাম করে সে বহু মানুষের কাছ টাকা নিয়ে তাদেরকে সর্বশান্ত করে। সে শহরের পলাশপোল এলাকায় বিয়ে করে সেখানে কিছু দিন আত্মগোপন করে থাকে। সম্প্রতি বিশে^র সর্ববৃহৎ কোরআর শরীফ সে লিখেছে দাবী করে সাতক্ষীরার ধর্মপ্রাণ মানুষের মাঝে সাড়া ফেলে। এরপর থেকে তাকে নিয়ে কানাঘুষা শুরু হয়।
এাদ্রাসার শিক্ষার্থী না হয়েও নিজ হাতে আরবি ভাষাতে কোরআন শরীফ লিখে ছিলেন, যেটিকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় হাতে লেখা কোরআনে কারিম বলে দাবি করেছেন তিনি। যা আকারে ৩৩৫ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ২৬৪ সেন্টিমিটার।