ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুককে গালাগালের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে অপসারণ করতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে আদালতের তলবের প্রেক্ষিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানভীর আহমেদ ভূঞা, সম্পাদক (প্রশাসন) মো: আক্কাস আলী ও জুবায়ের ইসলাম হাইকোর্টে হাজির হন।
তাদের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকির, সম্পাদক আব্দুন নূর দুলাল, শাহ মঞ্জুরুল হক, সাঈদ সাঈদ আহমেদ রাজাসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী।
ওই ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে দুই মাস সময় চান আইনজীবীরা। পরে আদালত ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দেন। ওই দিন তিন আইনজীবীকে আবারও আসতে বলা হয়েছে।
শুনানিতে আদালত বলেন, এর আগে খুলনা-পিরোজপুরে এমন ঘটনা ঘটেছে। এই ধরনের ঘটনা রোধ করতে না পারলে বিচার বিভাগ থাকবে? রাষ্ট্র থাকবে? আমরা থাকবো? যে ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে এটা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন। এর আগে আমরা নমনীয় ভাব দেখিয়েছি। এছাড়া এবার নমনীয় ভাব দেখানো হবে না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুককে গালিগালাজ করার ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতিসহ তিনজনকে ৫ জানুয়ারি তলব করেন হাইকোর্ট।
একইসাথে তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার দায়ে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
সূত্র : ইউএনবি