সাতক্ষীরার তালায় সেই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা অনাগত সন্তানের পিতৃপরিচয় নিশ্চিত করতে প্রেমিক বাদশার বাড়িতে অবস্থান করেও শেষ রক্ষা হয়নি অতপর থানায় মামলা।
তালা থানা সূত্রে জানাযায় অবশেষে ঐ মেয়ের মা বাদি হয়ে মামলা করে যার মামলা নং ১৩। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ এর সংশোধনী ২০০৩ এর ৭/৯ ধারা। মামলার আরজি সুত্রে জানা গেছে তালা উপজেলার চাঁদকাটি গ্রামের আবুল হোসেন মোড়লের মেয়ে ফায়েলা চাঁদকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী (১৬) সঙ্গে মাগুরাডাঙ্গা গ্রামে ইউপি সদস্য ময়নুল ইসলাম এর ছেলে ছাত্রলীগ নেতা বাদশা(২২) এরসাথে।
নাবালিকা স্কুল পড়ুয়া কিশোরী কে প্রেমের ফাঁদে ফেলে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। সম্পর্কের পরিনতির ফসল হিসেবে ঐ কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। মেয়েটি নিরুপায় হয়ে গত ২০ শে জানুয়ারি শুক্রবার মাগুরা ডাঙ্গাগ্রামে ইউপি সদস্য ময়নুল ইসলামের ছেলে বাদশার বাড়িতে বিয়ের জন্য অনশনে বসে। অন্তঃসত্ত্বা শিক্ষার্থী বিয়ের দাবীতে প্রেমিক এর বাড়িতে আসলে লাপাত্তা হয়ে যায় ধর্ষক বাদশা । বাদশার পিতা প্রভাবশালী ইউপি সদস্য ময়নুল ইসলাম মেয়েটিকে সন্ধ্যায় একটি ঘরে আটকিয়ে রাখেন। অতঃপর ময়নুল ইসলাম ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে বিভিন্ন স্থানে হস্তান্তর করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় এবং তাকে আটকে রাখেন। রাতেই মেয়েটির বাচ্চা নষ্ট করার পরিকল্পনা ছিল কিন্তু ধর্মের কল বাতাসে নড়ে ততক্ষন ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান তালা থানার পুলিশ। পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসেন। ঐ রাতেই নির্যাতিতোর মা রোকেয়া বেগম বাদি হয়ে বাদশাকে আসিমী করে তালা থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেন।
তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি চৌধুরী রেজাউল করিম জানান, ভিকটিমের মায়ের লিখিত এজাহারের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়েছে এবং তাকে গ্রেফতারের তৎপরতা চলছে।